আজ লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল। গোটা দেশ ভোটের রেজাল্ট নিয়ে উদ্বেগে আছে। মুহূর্তে মুহূর্তে পালটে যাচ্ছে ফলাফল। বাংলার ভোটের রেজাল্টের উত্তেজনার আঁচ পড়েছে টলিউড শিবিরেও। কারণ সিনেমাকে সরিয়ে রেখে আজ ভোট রেজাল্টের দিকে নজর রয়েছে টলি ইন্ডাস্ট্রির। কারণ বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর হাত শক্ত করে ধরে এই টলি পাড়া থেকে পাঁচজন এবছর তৃণমূলের হয়ে লড়ছেন। শতাব্দী রায়, মুনমুন সেন, মিমি চক্রবর্তী, নুসরত জাহান ও দেব। যদিও লকেট চট্টোপাধ্যায় ও বাবুল সুপ্রিয়র মতো দুই হেভিওয়েট সেলেব্রিটি বিজেপির হয়ে লড়ছেন, কিন্তু টলিউডের বেশিরভাগই সেলেব্রিটিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় দেখা যায়। ফলে তৃণমূলের জেতা-হারা নিয়ে পারদ চড়ছে টলি পাড়ায়।
যাদবপুর কেন্দ্রে সিপিএম বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য ও বিজেপির অনুপম হাজরাকে এই মুহূর্তে পিছনে ফেলে এগিয়ে গিয়েছেন তৃণমূলের মিমি চক্রবর্তী। মনে করা হচ্ছিল এই কেন্দ্রে সদ্য রাজনীতিতে আসা মিমির লড়াইটাই সবচেয়ে কঠিন হবে। কিন্তু তা নয়। এখনও পর্যন্ত ট্রেন্ড বলছে মিমির হারের সম্ভাবনা কম। বীরভূমে শতাব্দী রায় আর বসিরহাটে নুসরত জাহান প্রায় অপ্রতিদ্বন্দ্বী। দু’জনের দৌড়ই অব্যাহত। এখনও পর্যন্ত যা ট্রেন্ড, তাতে নুসরত ও শতাব্দীর কোনও প্রতিদ্বন্দ্বীই ফ্রেমে নেই। ঘাটালে কিন্তু লড়াই হচ্ছে হাড্ডাহাড্ডি। গণনা শুরু হওয়ার পর দেখা গিয়েছিল এই কেন্দ্র থেকে এগিয়ে ছিলেন তৃণমূল প্রার্থী দীপক অধিকারী বা দেব। কিন্তু সময় যত এগোতে থাকে, দেখা যায় দেবকে টক্কর দিতে এগিয়ে এসেছেন বিজেপি প্রার্থী ভারতী ঘোষ। একসময় তো তিনি দেবকে পিছিয়ে ফেলে দেন। কিন্তু পরক্ষণে আবার এগিয়ে যান দেব।
এবছর আসানসোল থেকে লড়ছেন অভিনেত্রী মুনমুন সেন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী বাবুল সুপ্রিয়। বিজেপির হয়ে আসানসোল কেন্দ্র থেকে লড়ছেন তিনি। ভোট প্রচারের সময়ই দেখা গিয়েছেন বাবুল এলাকায় যথেষ্ট অ্যাক্টিভ। ফলাফলের ট্রেন্ড বলছে, এক মুনমুন ছাড়া তৃণমূল কংগ্রেসের বাকি সেলেব্রিটি প্রার্থীরা এগিয়ে রয়েছেন। মুনমুনে সেনের ভাগ্যে আদৌ শিকে ছিঁড়বে কিনা, তা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মনেও চলছে দ্বন্দ্ব।