গোটা দেশের মতো বাংলাতেও গেরুয়া আধিপত্য বিস্তৃত করেছে। কোচবিহার থেকে আসানসোল, হুগলি থেকে মালদা – এক কথায় এই রাজ্যে আশাতীত ফল করেছে বিজেপি। কিন্তু ছবিটা থমকে গেল একটা ঘটনায়। শেষ দফার ভোটে পুরো যেন পা মুচড়ে পড়ে গেল গেরুয়া শিবির। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে শেষ দফার ভোট এবং বিজেপির জয়ের মধ্যে পাঁচিল হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন বিদ্যাসাগর।
বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের রোড শো ঘিরে গেরুয়া তাণ্ডবে ১৪ মে কলকাতা মহানগরীর বুকে লুটিয়ে পড়ে বিদ্যাসাগরের মূর্তি। চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে বঙ্গ সমাজে। বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙা যে বাঙালি মেনে নিতে পারেনি, তার প্রমাণ ১৯ মে শেষ দফার ভোটে কেন্দ্রগুলির ফলাফল। দমদম, বারাসত, বসিরহাট, জয়নগর, মথুরাপুর, কলকাতা উত্তর, কলকাতা দক্ষিণ, যাদবপুর, ডায়মন্ডহারবার। শেষ দফায় এ রাজ্যের ৯টি আসনের কোথাও দাঁত ফোটাতে পারেনি বিজেপি।
কলকাতা দক্ষিণ থেকে মালা রায় বা যাদবপুর থেকে মিমি যে বিপুল ভাবে জিতছেন, তা স্পষ্ট ভাবে এখানকার ভোটারদের বিজেপিকে প্রত্যাখান করারই প্রমাণ। অর্থাৎছবিটা আলাদা করে দিচ্ছে বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার পরবর্তী অধ্যায়। এই একটা ঘটনায় যে বাঙালি মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে তা পরিষ্কার। বিদ্যাসাগরের অপমান মেনে নিতে পারেনি বঙ্গ সমাজ। বিদ্যাসাগরের অষ্টধাতুর মূর্তি হয়তো গড়িয়ে দিতে পারবেন মোদী, কিন্তু মুখ ফিরিয়ে নেওয়া বাঙালির মন টানতে পারবেন কি?