গত রবিবার, ১৯ মে শেষ হয়েছে সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচন। আর ওইদিন সন্ধ্যে থেকেই বুথ ফেরত সমীক্ষা প্রকাশ করতে শুরু করেছে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম। এবং সেসব সমীক্ষায় দেখানো হয়েছে ফের একবার দিল্লীর কুর্সিতে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে আসছেন নরেন্দ্র মোদী তথা বিজেপি। যদিও ভোটের ফলাফল প্রকাশিত হবে আগামীকাল, ২৩ মে। কিন্তু এগজিট পোলকেই ‘এগজ্যাক্ট পোল’ ধরে নিয়ে আনন্দে মঙ্গলবারই এক বিলাসবহুল নৈশভোজের আয়োজন করেছিলেন মোদী-শাহরা। উদ্দেশ্য, শরিকদের খুশি করা। তবে এরই মধ্যে এক নতুন সমীকরণ তৈরি হচ্ছে গেরুয়া শিবিরের অন্দরে। মোদী-শাহ জুটি নিয়ে যে অসন্তুষ্ট আরএসএস, তা বিগত ৫ বছরে একাধিকবার প্রকাশ্যে এসেছে। তাই যদি এগজিট পোলের সমীক্ষা মেলে এবং মোদী ফের প্রধানমন্ত্রী হন, তাহলে সরকারের চালিকাশক্তি নিজেদের লোকের হাতে রাখতে চায় আরএসএস। আর সেই কারণেই নীতিন গাডকরিকে সামনে নিয়ে আসতে চাইছে তারা।
প্রসঙ্গত, নীতিন একদিকে আরএসএসের ঘনিষ্ঠ, অন্যদিকে সরকারের কাজকর্ম নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করেছেন অনেক সময়। তাতে অস্বস্তি বেড়েছিল মোদী সরকারের। কিন্তু নীতিনকে কিছু করা যায়নি। কারণ মাথার ওপর রয়েছে আরএসএসের হাত। এবার এই হাতকে আরও শক্তিশালী করতে আরএসএস নেতা ভাইয়াঝি যোশী বৈঠক করেন গাডকরির সঙ্গে। তার পরই জল্পনা তৈরি হয়েছে নতুন সরকার যদি গঠন হয় বিজেপি’র তাহলে নীতিন আরও ক্ষমতাবান হয়ে উঠবেন। দু’ঘন্টা ধরে চলা এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি’র আর এক শীর্ষ নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। সূত্রের খবর, নতুন সরকারে নীতিনের কি ভূমিকা হবে তা নিয়েই আলোচনা হয়েছে বৈঠকে। সেখানে তাঁকে নিশ্চিত করা হয়েছে নতুন সরকারে তাঁকে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হবে। কারণ তিনি আরএসএস ঘনিষ্ঠ। শোনা যাচ্ছে, সেরকম হলে গাডকরির নাম প্রধানমন্ত্রী পদের জন্যও সুপারিশ করতে পারে আরএসএস। যার ফলে এক তীব্র টানাপোড়েন শুরু হয়েছে গেরুয়া শিবিরের অন্দরে।