তৃণমূল কর্মীদের ডেথ সার্টিফিকেট লিখে দেব আমি! এই কেশপুরকে টিএমসির শেষপুর করে ছাড়বো! লোকসভা ভোট শুরুর আগে ঠিক এই ভাষাতেই বাংলার শাসক দলকে হুমকি দিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তারপর ভোট যত এগিয়েছে, ততই কুকথা আর বিতর্কিত মন্তব্যের ফোয়ারা ছুটিয়েছেন তিনি। এখানেই শেষ নয়। ভোট মিটতেও ফের তৃণমূলকে কার্যত হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। এবার দিলীপ বললেন, ‘তৃণমূলকে শান্ত রাখার ওষুধ তাঁরা তৈরি করে রেখেছেন।’
প্রসঙ্গত, গত রবিবার লোকসভা নির্বাচনের ইতি ঘটলেও এলহনও রাজ্যের দিকেদিকে বিজেপির দাদাগিরি চলছেই। বিশেষত ভাটপাড়া উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে যেভাবে উত্তপ্ত হয়ে আছে কাঁকিনাড়া, তাতে অনেকেরই আশঙ্কা ২৩ মে ফল বেরোনোর পর তা আরও বাড়তে পারে। সেই আশঙ্কাকেই সত্যি করার ইঙ্গিত দিলেন দিলীপ। মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি কোনও রাখঢাক না রেখেই জানিয়ে দেন, ‘তৃণমূলকে শান্ত রাখার ওষুধ তাঁরা তৈরি করে রেখেছেন।’
প্রসঙ্গত, গোটা ভোট মরশুমেই বিতর্কেই বিতর্কের শিরোনামে থেকেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। কোথাও গিয়ে বলেছেন, ‘মারব এখানে, লাশ পড়বে যেখানে সেখানে।’ তো কোথাও গিয়ে বলেছেন, ‘হাতে বাঁশ নিয়ে রেডি থাকুন। এমন মারুন, যাতে হাসপাতালে যেতে না হয়। স্পটেই যাতে হিসেব বরাবর হয়ে যায়।’ আবার তাঁকে এ কথা বলতেও শোনা গেছে যে, ‘কীভাবে ঘাসফুল মারিয়ে দিয়ে তৃণমূলকে শেষ করতে হয়, তার মন্ত্র আমার জানা আছে।’ থানা থেকে শুরু করে নির্বাচন কমিশন, একাধিক বার অভিযোগ করা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। কিন্তু দিলীপ আছেন দিলীপেই। তাঁর এবারের মন্তব্য ঘিরেও তৈরি হয়েছে বিতর্ক।