মতপার্থক্য দূর করতে ডাকা হয়েছিল বৈঠক। শেষ পর্যন্ত তা রয়েই গেল। বিরোধী মত নিয়ে দ্বিধাবিভক্তই থেকে গেল কমিশন।
বুধবার দিল্লীতে কমিশন কর্তাদের বৈঠকের পরে ঠিক হয়েছে, নির্বাচনী আচরণবিধি ভাঙা সংক্রান্ত বৈঠকে বিরোধী মতকে নথিভুক্ত করা হলেও চূড়ান্ত নির্দেশিকায় তার কোনও উল্লেখ থাকবে না। ফলে যে প্রশ্নে কার্যত নির্বাচন কমিশনে বিদ্রোহ করেছিলেন নির্বাচন কমিশনার অশোক লাভাসা তা আংশিক মানা হল বলেই মনে করছেন নির্বাচনী বিশেষজ্ঞেরা।
প্রসঙ্গত, শেষ দফা ভোটের আগে কার্যত বিস্ফোরণ ঘটান নির্বাচন কমিশনার অশোক লাভাসা। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরাকে চিঠি লিখে তিনি জানান, বৈঠকে তাঁর বিপরীতধর্মী মতামতকে গুরুত্ব না দেওয়া ও তা নথিভুক্ত না করায় তিনি বৈঠক থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিষয়টি মেটাতে আজ গোটা বেঞ্চের বৈঠক ডাকে কমিশন। সেখানেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এদিনের বৈঠকের শেষে কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, কোনও প্রার্থীর বিরুদ্ধে ওঠা নির্বাচনী আচরণবিধি ভাঙার শুনানিতে সেই প্রার্থীর পক্ষে ও বিপক্ষে থাকা সমস্ত বক্তব্যকে নথিভুক্ত করা হবে। কিন্তু চূড়ান্ত রায়ে সংখ্যালঘু মত স্থান পাবে না। কমিশনের এক কর্তার ব্যাখ্যা, ‘ধরা যাক তিন নির্বাচন কমিশনারের মধ্যে দু’জন প্রার্থীর পক্ষে অর্থাৎ তাঁকে ছাড় দেওয়ার পক্ষে ও এক জন প্রার্থীর বিপক্ষে অর্থাৎ শাস্তির পক্ষে মত দিলেন। যিনি বিপক্ষে মত দিয়েছেন তিনি সংখ্যালঘু হওয়ায় ওই প্রার্থীকে ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা কমিশনের। এত দিন আলোচনার সময়ে সংখ্যালঘু মতকে লিপিবদ্ধ করা হত না। এ বার থেকে তাই হবে। এটুকুই নিয়ম বদলাতে পেরেছেন লাভাসা। কিন্তু চূড়ান্ত নির্দেশিকায় এক নির্বাচন কমিশনার যে প্রার্থীর বিরুদ্ধে মতামত জানিয়েছেন তা সর্বসমক্ষে আনা হবে না।’