আগামীকাল ভোটের ফলাফল। তার আগেই লোকসভা নির্বাচন মিটতেই চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আশঙ্কা প্রকাশ করে কেজরিওয়াল জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর মৃত্যু চান। প্রধানমন্ত্রীকে জড়িয়ে দিয়ে তিনি গত সপ্তাহে পাঞ্জাবের একটি বৈদ্যুতিন মাধ্যমকে বলেন, “প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর মতো তাঁকেও তাঁর ব্যক্তিগত নিরাপত্তা রক্ষীরা মেরে ফেলতে পারেন”। তাতে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছিল।
বেশ কিছুদিন ধরে বারবার আক্রান্ত হয়েছেন দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। কখনও দিল্লীর সচিবালয় ঢুকে তাঁকে লক্ষ্য করে লঙ্কার গুঁড়ো ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আবার কখনও প্রচার করতে গিয়ে থাপ্পড় খেয়েছেন কেজরিওয়াল। একাধিকবার সংবাদমাধ্যমে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, “আমার বাড়িতে কেন্দ্রীয় সংস্থা হানা দিচ্ছে। মন্ত্রীসভার সদস্য থেকে বিধায়কদের হেনস্থা করা হচ্ছে। আমার আত্মীয়দেরও বিপাকে ফেলার চেষ্টা হচ্ছে”। আর এবার সরাসরি দেশের প্রধানমন্ত্রীকে নিজের প্রাণহানির আশঙ্কা করে দায়ী করলেন আপ সুপ্রিমো।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বিজয় গোয়েল সোমবার টুইট করে বলেন, “নিজের নিরাপত্তারক্ষীদের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে আপনি দিল্লী পুলিশের বিশ্বাসযোগ্যতাকেই প্রশ্নের মুখে ফেলে দিলেন। আপনি যদি নিজেই আপনার নিরাপত্তারক্ষী নির্বাচন করে নেন তাহলে সব দিক থেকেই ভাল হয়। কোনওরকম সমস্যা হলে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। আপনার দীর্ঘায়ু কামনা করি”। পাল্টা জবাব দিতে গিয়ে হিন্দিতে কেজরিওয়াল টুইটে লেখেন, “বিজয়জি বিষয়টি আমার নিরাপত্তারক্ষী সংক্রান্ত নয়। আসলে মোদীজি আমার মৃত্যু চান”। আর এই টুইট নিয়েই জোর বিতর্ক শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে।