‘তৃণমূলের ৪০ বিধায়কের সঙ্গে আমাদের প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রয়েছে।’ চতুর্থ দফার নির্বাচনের মাঝেই শ্রীরামপুরের জনসভা থেকে এমনই বিস্ফোরক দাবি করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যে কারণে তাঁর বিরুদ্ধে ‘ঘোড়া কেনাবেচার’ অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিল তৃণমূল। সেই ‘বিতর্কিত’ মন্তব্যের রেশ কাটতে না কাটতেই বিজেপির বিরুদ্ধে ‘হর্স ট্রেডিংয়ে’র অভিযোগ তুলেছিল দিল্লীর শাসক দল আম আদমি পার্টি (আপ)। আর এবার ভোট মিটতেই বিজেপি’র বিরুদ্ধে ফের ‘হর্স ট্রেডিং’-এর অভিযোগ আনলেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ। বিজেপির নাম না করেই কমল নাথ মঙ্গলবার অভিযোগ করেন, দল ভাঙাতে কংগ্রেস বিধায়কদের মোটা টাকা অফার করা হচ্ছে। সেইসঙ্গে পদেরও লোভ দেখানো হয়েছে।
মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, অন্তত ১০ জন কংগ্রেস বিধায়ক তাঁকে জানিয়েছেন, তাঁদের ফোন করে টাকা ও পদের লোভ দেখানো হচ্ছে। কমল নাথের কথায়, ‘এ ভাবে দল ভাঙানো সোজা হবে না। দলীয় বিধায়কদের উপর আমার সম্পূর্ণ আস্থা রয়েছে। তাঁরা কংগ্রেসকে নিঃস্ব করে, ওই টোপ গিলবেন না।’ প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনের এগজিট পোলের রিপোর্ট সামনে আসতেই মধ্যপ্রদেশে সরকার ভাঙতে তত্পর হয়ে উঠেছে বিজেপি। কিছুদিন আগেই এ রাজ্যে কংগ্রেস বিধানসভা নির্বাচনে জয় পেয়েছে। বিজেপি এগজিট পোলের ফল দেখে দাবি তুলেছে, মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকার সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছে। সেজন্য তাঁরা ফ্লোর টেস্টের দাবি তুলেছে। সেই প্রেক্ষিতেই ঘোড়া কেনাবেচার চেষ্টা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন কমলনাথ।
কমলনাথ জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে তৈরি। ফের একবার সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করে রাজ্য সরকারে তাঁরা টিকে থাকবেন বলেও স্পষ্ট করে দেন মুখ্যমন্ত্রী। উল্লেখ্য, ভোট চলাকালীন কেজরিওয়ালের মন্ত্রিসভার অন্যতম সদস্য মণীশ সিসোদিয়া অভিযোগ করেছিলেন, আপের সাতজন বিধায়ককে কিনতে চেয়ে বিজেপি তাঁদের প্রত্যেককে মোট ১০ কোটি টাকা করে দেওয়ার ‘অফার’ দিয়েছে। সাতজন বিধায়কের জন্য মোট ৭০ কোটি টাকা খরচ করে ঘোড়া কেনাবেচায় নেমেছে বিজেপি।ঠিক সেভাবেই মোটা টাকার বিনিময়ে এবার মধ্যপ্রদেশে বিধায়ক কেনার চেষ্টা চালাল গেরুয়া শিবির। যা প্রকাশ্যে আসতেই মুখ পুড়ল তাদের।