যোগীর রাজ্যে নির্যাতিত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। টাইম মেশিনে চড়ে কয়েক বছর পিছিয়ে গেলেই দেখা যাবে এক সুন্দর নয়াবাঁস। উত্তরপ্রদেশের নয়াবাঁসে আগে হিন্দু এবং মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষজন একসঙ্গে বাস করতেন৷ সবাইকে জীবনের যেকোনও মুহূর্তে একে অন্যকে পাশে পেতেন সকলে৷ সর্বধর্ম সমন্বয়ের ঐতিহ্যকে আগলে বাঁচতেন এখানকার মানুষ৷ কিন্তু সেসব এখন গল্পকথা। যোগীর রাজ্যে এখন কেবল হানাহানি, ধর্ম নিয়ে মাতামাতি, মানুষ খুন ইত্যাদি। বর্তমান পরিস্থিতি যেন আগের পরিস্থিতির ঠিক উল্টোপুরান। এখন আর পথ চলতে দেখা হলেও, কেউ কারও সঙ্গে কথা বলতে পারেন না৷ বিপদে কেউ কারও পাশেও থাকেন না৷ ধর্মের বেড়াজালই যেন এখন মূল ইস্যু৷
তবে যোগীর রাজ্যের ধর্মীয় মেরুকরণকে সমর্থন করেছেন অনেকে। মাদ্রাসায় ব্যবহৃত মাইক বাজানো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় যথেষ্ট খুশি হয়েছেন তাঁরা৷ রাজনীতিকদের মতে, এমন সুকৌশলে হিন্দুত্ববাদকে সকলের মনে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে যে তাতেই নাকি এমন বিরোধিতা তাঁদের৷ ধর্মীয় ভেদাভেদকে তাস হিসাবে ব্যবহার করেই দিল্লী দখলের লড়াইয়ের রাস্তায় হেঁটেছে উত্তরপ্রদেশের গেরুয়া শিবির৷ তবে আবারও বিজেপি ক্ষমতায় আসলে নয়াবাঁস ছাড়ার কথা ইতিমধ্যেই ভেবে ফেলেছে মুসলিম ধর্মাবলম্বী গ্রামবাসীরা৷
এই গ্রামেরই বাসিন্দা গুলফাম আলি বলছেন, “আগে জীবনের দুঃসময় এবং সুসময়ে হিন্দু-মুসলমান সকলে একসঙ্গে থাকতাম৷ যেকোনও অনুষ্ঠানে যেমন একসঙ্গে আনন্দ করেছি৷ তেমনই দুঃখের দিনেও পাশে পেয়েছি৷ কিন্তু বর্তমানে আমাদের জীবনধারা কেমন যেন বদলে গিয়েছে৷ ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি ভারতের প্রধানমন্ত্রী হ এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হন যোগী আদিত্যনাথ৷ দুই সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে বিভেদের অন্যতম ‘রূপকার’ও তাঁরা দুজনেই”।