আগামীকাল, বৃহস্পতিবার সারা দেশে লোকসভা ভোটের গণনা শুরু হবে। গণনা নিয়ে সর্বোচ্চ নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এই রাজ্যেও ভোট গণনা নিয়ে কমিশন নিরাপত্তার ব্যবস্থা জোরদার করেছে। বাংলায় ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তায় ভোট গণনা হবে। শহরের দশটি গণনাকেন্দ্রে চলছে তারই প্রস্তুতি। মঙ্গলবার লালবাজারের কর্তারা গিয়ে গণনাকেন্দ্র পরিদর্শন করেন।
এদিকে, ভোটের পর থেকেই শহরের কয়েকটি জায়গায় ছোটখাটো সংঘর্ষ হয়েছে। পুলিশের হস্তক্ষেপে সেগুলি বড় চেহারা নেয়নি। ভোট গণনার শেষেও যাতে শহরে আইনশৃঙ্খলার অবনতি না হয়, তার জন্যও তৈরি থাকছে পুলিশ। এরই মধ্যে বুধবার উত্তর কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রের জোড়াসাঁকো বিধানসভা কেন্দ্রের সংস্কৃত কলেজিয়েট স্কুলে পুনর্নির্বাচন। সেই কারণে এদিন সকাল থেকেই জোড়াসাঁকোয় ওই ভোটকেন্দ্রে মোতায়েন করা হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে পুরো উত্তর কলকাতা লোকসভার ভোট গণনা হবে। দক্ষিণ কলকাতার আলিপুরে ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের সাতটি বিধানসভারই গণনা হবে। বিজয়গড় জ্যোতিষ রায় কলেজে হবে যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের গণনা। এই কেন্দ্রগুলির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকছেন দু’জন করে ডেপুটি কমিশনার পদের আধিকারিক। এ ছাড়াও দক্ষিণ কলকাতা লোকসভার ক্ষেত্রে ডেভিড হেয়ার কলেজ, বালিগঞ্জ গভর্নমেন্ট স্কুল, শাখাওয়াত মেমোরিয়াল স্কুল, সেন্ট থমাস স্কুল, কসবার গীতাঞ্জলি স্টেডিয়াম, ঠাকুরপুকুরের দু’টি কেন্দ্রে হবে সাতটি বিধানসভা এলাকার গণনা।
এই কেন্দ্রগুলির দায়িত্বে থাকবেন একজন করে ডিসি ও দু’জন করে এসি পদমর্যাদার অফিসার। যেখানে গণনা হবে, সেই জায়গার নিরাপত্তার দায়িত্বে মূলত থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এর বাইরের স্তরে থাকবে পুলিশ। তৃতীয় স্তরে পুলিশ থাকবে গণনাকেন্দ্রের বাইরে।
গণনার পর বিজয়মিছিলকে কেন্দ্র করে যাতে কোনও গোলমাল না হয়, তার জন্য থাকছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এছাড়া শহরের মধ্যে যাতে কোনও বড় ধরনের সংঘর্ষ যাতে না হয়, সেদিকেও নজর রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে কোলকাতা পুলিশ। সবদিক বিচার বিবেচনা করে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে প্রশাসন পুলিশবাহিনীর ওপরেই আস্থা রাখছে।