ভোট শুরুর অনেক আগে থেকেই ইভিএম-কে কাঠগড়ায় তুলেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোট চলাকালীনও বারবার ইভিএম কারচুপির নানা অভিযোগ করেছিলেন তিনি। এবার এক্সিট পোলের ফল বেরনোর পর গণনা কেন্দ্রে ইভিএমে নজর রাখতে চরম সতর্কতা জারি করলেন মমতা। তিনি বলেন, ‘শেষ ভোট গোনা পর্যন্ত দলীয় এজেন্টদের কোনও মতে গণনা কেন্দ্র ছেড়ে আসা চলবে না। যতই চাপ আসুক, মাটি কামড়ে পড়ে থাকতে হবে’।
বুথ ফেরত সমীক্ষা দেখেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন তুলেছিলেন, ‘প্রচারে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একাধিকবার বলেছেন, তিনশোর বেশি আসন পেয়ে ক্ষমতায় ফিরবে বিজেপি। ফল প্রকাশের আগে কী ভাবে সে কথা জানলেন তিনি? এর সঙ্গেও কি ইভিএম কারচুপির সম্পর্ক আছে?’ চন্দ্রবাবু নায়ডুর সঙ্গে বৈঠকেও এই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। মমতার বক্তব্য, তাঁর এই বার্তা শুধু তৃণমূলের জন্য নয়, দেশের সমস্ত বিরোধী দলকে এই আর্জি জানাচ্ছেন তিনি।
শেষ দফার ভোট-প্রচারের সময়েই ইভিএম নিয়ে যে কারচুপি হতে পারে, তার আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। জানিয়েছিলেন, দিল্লি থেকে তিনি খবর পেয়েছেন স্ট্রং রুমে ঢুকে ইভিএম বদলে দিতে পারে বিজেপি। ফলে দলীয় কর্মীদের বিশেষ পাহারার ব্যবস্থা করতে হবে। যদি কারচুপি হচ্ছে এমন সন্দেহ হয়, তা হলে তৎক্ষণাৎ তার ছবি তুলে পাঠিয়ে দিতে হবে দলীয় নেতৃত্বের কাছে। এর জন্য দলের তরফ থেকে পুরস্কৃত করা হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছিলেন মমতা।
এ দিনও তিনি বলেন, ভোটের পরে বিভিন্ন গণমাধ্যমে যে সব সমীক্ষা দেখানো হচ্ছে, তা দেখে কর্মীরা যেন মনোবল হারিয়ে না ফেলেন। সোশ্যাল মিডিয়ার খবরকেও এড়িয়ে চলার নির্দেশ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, গণনা চলাকালীন কখনও দলীয় প্রার্থী এগোবেন, কখনও পিছোবেন। তা দেখে কর্মীরা যেন আনন্দিত অথবা হতাশ হয়ে না পড়েন। কর্মীরা যেন কোনও প্ররোচনায় পা না দেন। মাথা ঠান্ডা রেখে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে।