অসুস্থতার কারণে জামিনে মুক্ত তিনি। তবে জামিনে জেল থেকে বেরিয়েও বিজেপির হয়ে ভোটে দাঁড়িয়েছেন। আর ভোটপ্রচারে বেরিয়ে একাধিক বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য বারবার শিরোনামে এসেছেন মালেগাঁও বিস্ফোরণের মতো গুরুতর ঘটনায় অভিযুক্ত সাধ্বী প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর। যার জেরে একই দিনে তাঁকে জোড়া নোটিস পাঠিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। এমনকী কোপ পড়েছিল তাঁর ভোটপ্রচারেও। আর এবার সঙ্ঘ প্রচারক সুনীল যোশী হত্যাকাণ্ডে বিপাকে পড়তে পারেন প্রজ্ঞা। গোটা ঘটনায় তাঁর ভূমিকা খতিয়ে দেখতে নতুন করে তদন্ত চালু করার সিদ্ধান্ত নিল মধ্যপ্রদেশের কমলনাথ সরকার। এ ব্যাপারে খুব শীঘ্র উচ্চ আদালতে আর্জি জানানো হবে বলে জানিয়েছেন সে রাজ্যের আইনমন্ত্রী পিসি শর্মা।
প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালের ২৯ ডিসেম্বর দেবস থানা এলাকায় আততায়ীদের গুলিতে খুন হন আরএসএস-এর প্রচারক সুনীল জোশী। তদন্তে নেমে রাজস্থান থেকে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই সাধ্বী প্রজ্ঞা এবং আরও সাতজনের নাম উঠে আসে। ২০১৪-য় এনআইএ-র রিপোর্টে বলা হয়, সুনীল যোশীর সহযোগী হিসাবে কাজ করতেন প্রজ্ঞা। তাঁর কাছ থেকে যৌন সুবিধা গ্রহণের চেষ্টাও করেন সুনীল জোশী। এছাড়া মালেগাঁও বিস্ফোরণ ষড়যন্ত্র সম্পর্কে অনেক কিছু জানতেন তিনি। তাই তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে। ২০১৭-র ১ ফেব্রুয়ারি প্রজ্ঞা মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেও মালেগাঁও বিস্ফোরণ মামলা থেকে এখনও রেহাই পাননি তিনি। ‘মহারাষ্ট্র কন্ট্রোল অব অর্গানাইজড ক্রাইম’ আইনে তাঁর বিরুদ্ধে খুন, খুনের চক্রান্ত, দাঙ্গার চক্রান্ত, সাম্প্রদায়িক হিংসা এবং সন্ত্রাসের অভিযোগে মামলা চলছে।