লা লিগার শেষ ম্যাচে জিততে পারল না বার্সেলোনা। ২-২ ড্র করল তাঁরা এবং তার সঙ্গে আবার শনিবার রাতের ম্যাচে হেরে গেল রিয়াল মাদ্রিদ। লা লিগার শেষ ম্যাচে। লিওনেল মেসির জোড়া গোল কাজে এল না। এক গোলে পিছিয়ে থেকে ম্যাচ ড্র করতে বাধ্য হল বার্সেলোনা। তবে মেসি পৌঁছে গেলেন মরসুমে ৫০ গোলের মাইলস্টোনে। যা অতীতে আরও পাঁচ বার করেছিলেন। চ্যাম্পিয়ন বার্সা আগেই হয়ে গিয়েছিল। কার্যত নিয়মরক্ষার ম্যাচ খেলতে নেমেছিল। ম্যাচের শেষ মিনিট পর্যন্ত জেতার কম চেষ্টা করেনি বার্সা। কিন্তু কিছুই হল না।
ম্যাচের ২০তম মিনিটে নিজেদের ভুলে গোল খেয়ে বসে বার্সেলোনা। বাঁ দিক থেকে উড়ে আসা বল ঠেকাতে গিয়ে ডি-বক্সে পড়ে যান জেরার্দ পিকে। সেই সুযোগে এইবারের ফরোয়ার্ড সের্হি এনরিচ ছোট করে বাড়ান বাঁ দিকে। কোনাকুনি শট নেন মার্ক কুকুরেইয়া। বল গোলরক্ষক ইয়াসপের সিলেসেনের আয়ত্ত্বের মধ্যেই ছিল; কিন্তু তার হাতের নিচের দিকে লেগে বল জালে জড়ায়।
পাল্টা জবাব দিতে দেরি করেনি চ্যাম্পিয়নরা। খানিক পর দুই মিনিটের মধ্যে দুবার জালে বল পাঠিয়ে দলকে এগিয়ে দেন মেসি। ৩১তম মিনিটে গোছানো এক আক্রমণে আর্তুরো ভিদালের দারুণ পাস ধরে দুরূহ কোণ থেকে সমতা ফেরান মেসি। পরের মিনিটে নিজেদের অর্ধ থেকে ইভান রাকিতিচের বাড়ানো বল ধরে অনেকটা এগিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন আর্জেন্টাইন তারকা। চলতি লিগে সর্বোচ্চ গোলদাতার এটি ৩৬তম গোল।
সিলেসেনের আরেকটি ভুলে বিরতির ঠিক আগে আবারও গোল হজম করে বার্সেলোনা। আক্রমণ ঠেকাতে ডি-বক্সের বাইরে বেরিয়ে এসে হেড করেন ডাচ গোলরক্ষক। আলগা বল পেয়ে জোরালো হাফ-ভলি করেন আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার পাবলো দে ব্লাসিস। নিজের জায়গায় ফিরে তা ঠেকানোর সময় পাননি সিলেসেন।
৬১তম মিনিটে দলকে আবারও এগিয়ে নেওয়ার দারুণ সুযোগ পেয়েছিলেন পিকে। কিন্তু মালকমের গোলমুখে বাড়ানো বলের নাগাল পাননি স্প্যানিশ ডিফেন্ডার। ৮১তম মিনিটে ছোট ডি-বক্সের বাইরে ফাঁকায় বল পেয়ে কুকুরেইয়া অবিশ্বাস্যভাবে উড়িয়ে মারলে অমিমাংসিতভাবে শেষ হয় আসরের শেষ ম্যাচটি।