গতকাল সপ্তদশ ভোটপুজো শেষ হয়েছে। আর তারপরই সব জাতীয় মিডিয়া এক্সিট পোলের উৎসবে সামিল হয়েছে। দেশের মিডিয়া তাঁদের এক্সিট পোলের রিপোর্ট নিয়ে হাজির জনগণের সামনে। আর এর মধ্যেই উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রী সভায় ভাঙন ঘটল। বছরখানেক ধরে প্রকাশ্যে উত্তরপ্রদেশে যোগী আদিত্যনাথ সরকারের সমালোচনা করে আসছিলেন তাঁরই মন্ত্রিসভার সদস্য ওমপ্রকাশ রাজভর। তিনি বিজেপির শরিক সুহেলদেব ভারতীয় সমাজ পার্টির নেতা। গত এপ্রিলেই তাঁর রেজিগনেশন লেটার জমা পড়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। কিন্তু তখনই তা গ্রহণ করেন নি। আর এক্সিট পোলের রিপোর্ট বেরোনোর পরই সেই ইস্তফা নিয়ে নেন আদিত্যনাথ।
২০১৭ সাল থেকে যোগী মন্ত্রিসভার সদস্য রাজভর। সোমবার সকালে তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী শেষপর্যন্ত আমার ইস্তফা গ্রহণ করেছেন। তিনি যেরকম দ্রুতগতিতে আমাকে মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দিলেন, তেমন তৎপরতার সঙ্গে পিছিয়ে পড়া জাতিদের উন্নতি করুন। রাজভর প্রকাশ্যেই বলতেন, যোগী শরিক দলগুলিকে গুরুত্ব দেন না। পিছড়ে বর্গের উন্নয়নেও তাঁর আগ্রহ নেই।
রবিবার রাজভর বালিয়ায় ভোট দেন। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, উত্তরপ্রদেশে ভোটের কেমন ফল হবে বলে আশা করছেন? তিনি বলেন, রাজ্যে ৮০ টি আসনের মধ্যে বিজেপি বড় জোর ১৫ টি পেতে পারে। বরং সপার অখিলেশ সিং যাদব ও বসপার মায়াবতীর মহাগঠবন্ধনের ফল ভালো হবে। তাঁর কথায়, এই ভোটে কোনও দলই গরিষ্ঠতা পাবে না। কিন্তু উত্তরপ্রদেশের পূর্বাঞ্চলে মহাগঠবন্ধন বিরাট জয় পাবে। এসপি-বিএসপি জোট পাবে পাবে ৫৫ থেকে ৬০ টি আসন। কংগ্রেস পাবে দু’-তিনটি সিট। ২০১৪ সালে উত্তরপ্রদেশে বিজেপি পেয়েছিল ৭১ টি আসন।
রাজভর পূর্ব উত্তরপ্রদেশে তাঁর দলের ৩৯ জনকে দাঁড় করিয়েছেন। বিজেপির শরিক হওয়া সত্ত্বেও অনেক কেন্দ্রে গেরুয়া ব্রিগেডের বিরুদ্ধেই প্রার্থী দিয়েছেন। এমনকী বারাণসীতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিপক্ষেও প্রার্থী দিয়েছেন। দিল্লীর মসনদে কে বসবে তা জানা যাবে দুদিন পরই। আর তার আগেই উত্তরপ্রদেশে গেরুয়া শিবিরের এই ভাঙন চোখে এড়াচ্ছে না কারোরই।