ভোট শেষের পর বিভিন্ন বুথ ফেরত সমীক্ষা দেশে সরকার গড়ার দৌড়ে এনডিএ-কে এগিয়ে রাখলেও হাল ছাড়ছেন না বিরোধীরা। আসল ফল প্রকাশের পরে সরকার গড়তে এনডিএ যদি হোঁচট খায়, বিরোধীরা মিলে যাতে তড়িঘড়ি সরকার গড়া যায়, তার তোড়জোড় চলল দিল্লিতে।
রাহুল গাঁধীর সঙ্গে দেখা করে চন্দ্রবাবু নায়ডু লখনউ গিয়েছিলেন মায়াবতী-অখিলেশের সঙ্গে দেখা করতে। চন্দ্রবাবুর দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, মায়াবতী এরমধ্যেই দিল্লিতে এসে সনিয়া গাঁধী-রাহুল গাঁধীর সঙ্গে দেখা করতে পারেন। যদিও কংগ্রেস তরফে বলা হচ্ছে, এখনই হয়তো ফের এই বৈঠক হচ্ছে না।
চন্দ্রবাবু দিল্লিতে গিয়ে প্রথমে রাহুল, পরে দশ জনপথে গিয়ে সনিয়ার সঙ্গে বৈঠক করেন। বিরোধী শিবিরের নেতারা এখনও মনে করছেন, বিজেপি কোনও অবস্থাতেই এনডিএ-র বর্তমান শরিকদের সঙ্গে নিয়ে সরকার গড়তে পারবে না। কে চন্দ্রশেখর রাও, জগন্মোহন কিংবা নবীন পট্টনায়কদের উপরে ভরসা রাখতে হবে অমিত শাহকে।
সে কারণেই চন্দ্রবাবুর মতো এক নেতাকে সামনে রেখে যেমন বিভিন্ন দলের নেতাদের সঙ্গে যোগসূত্র স্থাপন করতে উদ্যোগী হয়েছেন রাহুল গাঁধী, তেমনই সনিয়া নিজেও কংগ্রেসের শীর্ষ নেতাদের নানা দলের সঙ্গে কথা বলার নির্দেশ দিয়েছেন। পটনায় বসেই কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী পদ নিয়ে জেদ ধরে থাকবে না কংগ্রেস।
ভোট শেষে সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদবও বলেন, ‘‘উত্তরপ্রদেশে বিরোধী জোট ভাল ফল করবে। চার দিন পরে দেশে নতুন সরকার ও নতুন প্রধানমন্ত্রী হবে।’’
কংগ্রেসের নেতারা বলছেন, বুথ ফেরত সমীক্ষা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মেলেনি। ফলে গোটা ভোট প্রক্রিয়ায় রাহুল গাঁধী যেমন নরেন্দ্র মোদীর জন্য সব পথ বন্ধ করার চেষ্টা করেছেন, ভোটের পরেও এখন সেই কাজটি করছে কংগ্রেস।