এখনও শেষ হয়নি সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচন। আজ দেশ জুড়ে চলছে সপ্তম তথা শেষ দফার ভোট। কিন্তু তাতে কী? ভোট শেষ হওয়ার আগেই বিজেপি-বিরোধী জোট গড়তে পুরোদস্তুর মাঠে নেমে পড়লেন দেশের বিরোধী নেতারা। ১৯ জানুয়ারি বাংলার ব্রিগেড ময়দানে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ইউনাইটেড ইন্ডিয়ার স্বপ্ন বুনে দিয়েছিলেন বিভিন্ন দলের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে, সেই মতোই সকলকে এবার এক সুতোয় বাঁধতে এগিয়ে এলেন মমতা অনুরাগী বলে পরিচিত অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু।
দিল্লী এসে প্রথমেই মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন টিডিপি নেতা। গতকাল রাহুল গান্ধী ছাড়াও তিনি দেখা করেন শরদ পাওয়ার, শরদ যাদবদের সঙ্গে। এরপরই তিনি সোজা উড়ে যান লখনউ। আসন্ন জোট গঠনের প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠক করেন এসপি নেতা অখিলেশ যাদব ও বিএসপি নেত্রী মায়াবতীর সঙ্গে।
প্রসঙ্গত, ভোটের ফল ঘোষণা হবে ২৩ মে। কিন্তু আজ সন্ধ্যার পর থেকেই বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের জনমত সমীক্ষার ফলাফল আসতে শুরু করবে। যার ভিত্তিতে প্রাথমিক পর্যায়ের তৎপরতা শুরু হয়ে যাবে উভয় শিবিরেই। বিজেপির দাবি, গরিষ্ঠতা পেয়ে ফের সরকার গঠন করবেন নরেন্দ্র মোদী। অন্য দিকে কংগ্রেস সূত্রে দাবি, ‘দল একশো আসন তো পাবেই। দেড়শো হওয়াও অবিশ্বাস্য নয়।’
কংগ্রেসের বক্তব্য, দল যদি দেড়শো আসন পায়, সেক্ষেত্রে রাহুল গান্ধীকে বিরোধী জোটের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে তুলে ধরা হবে। যদি ১২০ আসনের কম পায়, সে ক্ষেত্রে বিরোধী শিবিরের অন্য কাউকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী করতেও যে দল রাজি আছে— সেই বার্তা ইতিমধ্যেই পাটনায় দিয়ে এসেছেন গুলাম নবি আজাদ। তিনি বলেছেন, ‘প্রয়োজনে আমরা কর্ণাটক মডেলে জোট সরকারকে সমর্থন করতে রাজি আছি। প্রধানমন্ত্রী অন্য কোনও দল থেকে হলে কংগ্রেসের কোনও সমস্যা নেই।’ আসলে কংগ্রেস যে এখানে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর কথাই বলতে চেয়েছেন তা স্পষ্ট। আর তার ফলেই তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক গুঞ্জন। যা সত্যি কিনা বোঝা যাবে আগামী ২৩ তারিখ ফল প্রকাশের দিনই।