দেখতে দেখতে একেবারে শেষ লগ্নে ২০১৯-এর ভোটযুদ্ধ। আজ, রবিবার দেশ জুড়ে সপ্তম দফা ভোটগ্রহণের মাধ্যমেই শেষ হচ্ছে সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচন। শেষ দফায় বাংলার পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশ, বিহার, পাঞ্জাব-সহ সাতটি রাজ্যে ও একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মোট ৫৯টি কেন্দ্রে ভোট রয়েছে। এর মধ্যে ১৩টি আসনই রয়েছে উত্তরপ্রদেশে। যেখানে এবার মোদী লহর তো নেই-ই, উল্টে সপা-বসপা-রালোদ মহাজোট করায় গোহারা হারের আশঙ্কায় ভুগছেন দলীয় নেতৃত্ব। তাঁদের মতে, গত বার মোদী ঝড় থাকা সত্ত্বেও বুয়া-বাবুয়া একক ভাবে লড়াই করেই যে ভোট পেয়েছিল তা যোগ করলে বহু আসনে বিজেপি প্রার্থীর হেরে যাওয়ার কথা। এবার হাত মিলিয়েছে দুই দল। নেই আগের মোদী হওয়া। ফলে আশঙ্কার চোরাস্রোত বইছে দলের ভিতরেও।
বারাণসী সংলগ্ন গাজীপুরের ভবিষ্যত কী হবে তা নিয়ে যেমন সংশয় রয়েছে বিজেপির অন্দরমহলে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মনোজ সিনহা ওই কেন্দ্র থেকে লড়ছেন। তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হলেন বসপার আফজল আনসারি। জেলে বন্দী থাকা বাহুবলী মুক্তার আনসারির ভাই তিনি। লড়াই যে কঠিন হবে তা ঘনিষ্ঠদের কাছে স্বীকার করে নিয়েছেন মনোজ সিনহাও। অন্যদিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথের কর্মভূমি গোরক্ষপুরে বিজেপি ভোজপুরি অভিনেতা রবি কিষণকে দাঁড় করালেও অঙ্কের হিসেবে তাঁকে চাপে ফেলে দিয়েছেন জোট প্রার্থী রামভুয়াল নিষাদ। একে তিনি জোট প্রার্থী। তার ওপরে তিনি নিজে নিষাদ গোষ্ঠীর হওয়ায় ওই গোষ্ঠীর সমস্ত ভোট তাঁর ভোট বাক্সে যাবে আশা করছেন রামভুয়াল। সপা-বসপা শিবিরের বক্তব্য, গোরক্ষপুরের মতো বেশ কিছু জায়গায় কংগ্রেসের ভোট তাদের ঝুলিতে এলে আরও সুবিধে হবে জোট প্রার্থীর।