লাক্ষাদ্বীপে একাধিক ক্রিকেট প্রতিভা থাকা সত্ত্বেও ভারতীয় বোর্ডের স্বীকৃতি পায়নি লাক্ষাদ্বীপ। গত বছরই লাক্ষাদ্বীপ ভারতীয় বোর্ডকে এই আবেদন করেন সে রাজ্যের ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ দফতরের পরামর্শদাতা রঞ্জিত কলরা। এ বছরও সেই একই আবেদন করা হয় সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত প্রশাসকদের কমিটি (সিওএ)-কে। কিন্তু এখনও কোনও জবাব পাওয়া যায়নি।
দেশের অন্য কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মতোই রঞ্জি ট্রফি খেলতে চায় লাক্ষাদ্বীপের ক্রিকেটাররা। তাঁরাও বিশ্বকে দেখিয়ে দিতে চায় আরব সাগরের এই প্রত্যন্ত দ্বীপ থেকেও ভারতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার মতো ক্রিকেটার তৈরি হয়। লাক্ষাদ্বীপের পাশাপাশি আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জও এখনও ভারতীয় বোর্ডের স্বীকৃতি পায়নি। অথচ মালদ্বীপে সাবা করিম ও অভয় শর্মাকে পাঠিয়ে তাঁদের সাহায্য করতে চায় বোর্ড। রঞ্জিত বলছিলেন, ‘‘মালদ্বীপকে সাহায্য করছে তাতে আমাদের কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু আমরা চাইব লাক্ষাদ্বীপেও যেন বোর্ডের প্রতিনিধি দল এসে এক বার ঘুরে যায়। তা হলেই তাঁরা বুঝতে পারবেন কেন বোর্ডের স্বীকৃতি পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে লাক্ষাদ্বীপ।’’
১৯৯২ সালে ক্রিকেট সংস্থা তৈরি হয় লাক্ষাদ্বীপে। ক্রিকেটের প্রতি উৎসাহ আন্দাজ করেই তা শুরু করা হয়। কিন্তু এখনও ভারতীয় বোর্ডের স্বীকৃতি পায়নি তারা। নিজেদের প্রতিভা তুলে ধরার জন্য এখনও ভরসা রাখতে হয় কেরল ক্রিকেট সংস্থার ওপর।
দেশের সাতটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে শুধু দিল্লী ও পুদুচেরি ভারতীয় বোর্ডের স্বীকৃতি পেয়েছে। গত বারই সে স্বীকৃতি দেওয়া হয় পুদুচেরিকে। পাশাপাশি উত্তর-পূর্ব ভারতের মিজ়োরাম, নাগাল্যান্ড, মণিপুর, অরুণাচল প্রদেশকেও বোর্ডের স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে জানা গিয়েছে যে, প্রতিবেশী দেশ মলদ্বীপকে সাহায্য করতে চায় ভারতীয় বোর্ড। যা দেখার পরে সিএবি যুগ্মসচিব অভিষেক ডালমিয়াকেও সাহায্য চান রঞ্জিত। অভিষেক সাহায্য করার চেষ্টা করেন। লাক্ষাদ্বীপ ক্রিকেটে সংস্থার সেই চিঠি সিওএ-কে পাঠান। তবুও কোনও জবাব পাওয়া যায়নি।