দমদম লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি–কে ভোট দেবেন কিছু সিপিএম কর্মী–সমর্থক। আর এর পেছনে টাকা ঢালছে বিজেপি নেতৃত্ব। মধ্যমগ্রামে জেলা তৃণমূলের কার্যালয়ে এই অভিযোগ তুললেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূলের সভাপতি ও খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, বিজেপির কাছে টাকা খাওয়ার এই প্রক্রিয়াটার পেছনে আছেন সিপিএমের মানস মুখার্জি। তিনি উত্তর ২৪ পরগনা জেলা কমিটির সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য এবং কামারহাটি বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক। মানসের স্ত্রী স্কুল শিক্ষিকা। অথচ তাঁদের জীবনযাপন বিলাসবহুল। প্রাসাদোপম বাড়ি। অত্যাধুনিক ইলেকট্রনিক গ্যাজেট ব্যবহার করেন। বাজারে নতুন গ্যাজেট এলেই তাঁর হাতে চলে আসে। রাজনৈতিক সূত্রের খবর, নির্বাচনী মরশুমে বিজেপির কাছ থেকে তাঁর কাছে কোটি কোটি টাকা ঢুকেছে। সেই জন্য তিনি অসুস্থতার দোহাই দিয়ে ঘরে বসে ছিলেন। নির্বাচনী প্রচারে তাঁকে দেখা যায়নি বললেই চলে। কয়েকটি রোড শোতে উপস্থিত ছিলেন মাত্র। এই সব কারণে সিপিএমের মানস মুখার্জির নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে চলেছে তৃণমূল।
খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানিয়েছেন, সম্প্রতি নাগেরবাজারের একটি গেস্ট হাউসে সিপিএম ও বিজেপি নেতাদের মধ্যে গোপন বৈঠক হয়। সেই বৈঠকেই টাকা বিনিময়ের ওই রফা হয়। তাঁর অভিযোগ, কামারহাটির এক দোকানি একটি খাম কুড়িয়ে পান। সেই খাম তাঁদের হাতে এসেছে। ওই খামে সিপিএম নেতারা দমদম লোকসভা কেন্দ্রের বিধানসভাভিত্তিক কীভাবে বিজেপি–র কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন তার উল্লেখ আছে। তৃণমূলের কোন কোন নেতা–কর্মীকে গ্রেপ্তার করার দাবি জানানো হবে তাও উল্লেখ রয়েছে ওই খামের ভেতরে থাকা কাগজে। পুরো বিষয়টি তাঁরা জানিয়েছেন নির্বাচনী দপ্তরে। এই রফার বিষয় নিয়ে দমদম লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী শমীক ভট্টাচার্য ও আরেক বিজেপি নেতা এবং সিপিএমের মানস মুখার্জি ও পল্টু দাশগুপ্তের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হবে।
খাদ্যমন্ত্রী বারাসতে জেলাশাসকের দপ্তরে ভাটপাড়া উপনির্বাচন নিয়ে বিজেপি–র বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে যান। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী দীনেশ ত্রিবেদী, জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি বিধায়ক পার্থ ভৌমিক, বিধানসভার মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ, জেলা পরিষদের বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ এ কে এম ফারহাদ প্রমুখ। অভিযোগ জানানোর পর দীনেশ ত্রিবেদী জানান, ভাটপাড়ায় ১০ হাজার জাল ভোটার কার্ড তৈরি করেছে বিজেপি। যে সমস্ত ভোটার অনুপস্থিত থাকবেন তাঁদের ভোট দিয়ে দেওয়ার জন্য ওই ভোটার কার্ড তৈরি করা হয়েছে।