২০১৯ বিশ্বকাপের আগেই ভারতীয় দলে স্বস্তির খবর। পুরোপুরি সুস্থ কেদার যাদব। বিসিসিআইয়ের তরফ থেকে ভারতীয় দলের সঙ্গে ইংল্যান্ড উড়ে যাওয়ার সবুজ সংকেত পেয়ে গিয়েছেন কেদার যাদব। কেদার যদি বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যেতেন তাহলে ঋষভ পন্থের ভারতীয় স্কোয়াডে জায়গা পাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার মুম্বইয়ে কেদারের ফিটনেস টেস্ট হয়। সেই রিপোর্ট ‘টিম ইন্ডিয়া’র ফিজিও প্যাট্রিক ফারহার্ট জমা দেন বোর্ডের কাছে।
আইসিসি’র নিয়ম অনুযায়ী, ঘোষিত ১৫ সদস্যের দলে কোনও পরিবর্তন করতে হলে সেটা ২৩ মে’র মধ্যেই করতে হবে। অর্থাৎ হাতে খুব বেশি সময় ছিল না। কেদার যদি ফিটনেস টেস্টে ফেল করতেন, তাহলে ঋষভ পন্থ শেষ মুহূর্তে ইংল্যান্ড উড়ে যাওয়ার বিমানের টিকিট পেয়ে যেতেন। কিন্তু কেদারের ফিটনেস টেস্ট নিয়ে খুশি ভারতীয় দলের ট্রেনাররা।
কোচ রবি শাস্ত্রী কয়েকদিন আগেই বলেছিলেন, কেদার যাদবকে নিয়ে আমরা তাড়াহুড়ো করতে চাইছি না। আগে আমরা ইংল্যান্ডে যাই, তারপর দেখা যাবে। কারণ, কেদারের চোট সারিয়ে ওঠার মতো পর্যাপ্ত সময় রয়েছে। ভারতীয় দলের কোচের এই কথাতেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল, টিম ম্যানেজমেন্ট কেদারের পরিবর্ত হিসাবে ঋষভকে ভাবছে না। কারণ, বিশ্বকাপে ভারতীয় স্কোয়াডে তিনজন উইকেটরক্ষক আছেন। কেদার যাদব ঠান্ডা মাথার ক্রিকেটার। যথেষ্ট অভিজ্ঞতাও রয়েছে। ৫৯টি একদিনের ম্যাচ খেলে কেদার করেছেন ১১৭৪ রান। স্ট্রাইক রেট ১০২.৫৩। চেঞ্জ স্পিনার হিসাবেও কার্যকরী। পাঁচ বছর আগে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে একদিনের ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল কেদারের। তাই বিশ্বকাপে অভিজ্ঞতার উপর ভরসা রাখল ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট।
গত ৫ মে আইপিএলের ম্যাচে বাউন্ডারি বাঁচাতে গিয়ে কাঁধে চোট পেয়েছিলেন কেদার। চোট বেশ গুরুতর ছিল। ফলে তিনি সঙ্গে সঙ্গে মাঠ থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। চিকিৎসকরা তাঁর চোট পরীক্ষা করে দু’সপ্তাহের জন্য বিশ্রামের পরামর্শ দিয়েছিলেন। কেদার আইপিএলের বাকি ম্যাচ খেলতে পারেননি। সেই সঙ্গে তাঁর বিশ্বকাপ খেলা নিয়েও ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু সে ধোঁয়াশা এখন কেটে গেছে।