বর্তমানে তিনি ত্রিপুরার রাজ্যপাল। কিন্তু এই তথাগত রায় আগে ছিলেন বাংলার বিজেপি সভাপতি। একসময় তাঁর এক মন্তব্যেই সারা রাজ্য জুড়ে উঠেছিলো সমালোচনার ঝড়।
২০০১ সালে যাদবপুরে দাঁড়িয়ে তৎকালীন এই বিজেপি নেতা বলেছিলেন, “সুকান্ত ভট্টাচার্য একজন থার্ড ক্লাস কবি, তাঁর কবিতা পাতে দেওয়ার মতো নয়।” এধরনের মন্তব্য করে তিনি বাংলার সংস্কৃতিকেই অপমান করেছিলেন এবং তাঁর কথায় পরিষ্কার ছিল যে, বিজেপি জোর করে বাংলার এই সুস্থ সংস্কৃতিকে মুছে দিতে চান।
শুধুমাত্র সুকান্তেই থেমে থাকেননি তিনি। তরুণ এই কবি ছাড়াও তাঁর অপমানের লক্ষ্য ছিল কাজী নজরুল ইসলামও। যাদবপুরের সেই সভা থেকে এই বিজেপি নেতা বলেছিলেন, “নজরুল একজন তুচ্ছ কবি। ভোটব্যাঙ্ক বাড়াতে নজরুলকে ব্যবহার করে রাজনৈতিক দলগুলো। বাঙালিকে এই রসুন সংস্কৃতি থেকে বেরোতে হবে। রসুন মানে রবীন্দ্রনাথ-সুকান্ত-নজরুল।”
এধরনের মন্তব্যের জেরে সেইসময় বিতর্কে জড়িয়েছিলেন এই বিজেপি নেতা। এখন প্রশ্ন হলো, বাঙালি কি তাঁদের সংস্কৃতির এহেন অপমান মুখ বুজে মেনে নেবে? বাঙালি কি তথাগতকে আদৌ সমর্থন করে?