যত কান্ড বারাণসীতে। একদিকে উন্নয়নের ছবি বনাম ধর্মীয় আবেগ। বিভিন্ন রিপোর্ট ও বাস্তব চিত্র বলছে, ক্রমবর্ধমান জবলেস গ্রোথের সঙ্গে বেড়েছে কৃষিক্ষেত্রেও মন্দার হার৷ উত্তর প্রদেশের বিরাট কৃষি বলয়ে সেই প্রভাব পড়েছে৷ যার ফল লক্ষাধিক কৃষকদের সংসদ ভবন অভিযান৷ নরমুণ্ড ও উলঙ্গ সেই কৃষকদের ছবি দেখেছে দুনিয়া৷ তারাই আবার বারাণসীতে নরেন্দ্র মোদীর প্রতিপক্ষ৷ কেউ চেনেন না, কেউ নাম জানেনও না৷ তবুও প্রার্থী হয়ে দাঁড়িয়ে কৃষিজীবীদের প্রতীকী বার্তায় এসেছে বিদ্রোহের ঝাঁঝ৷
অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্বপ্নের কাশী বিশ্বনাথ করিডর প্রকল্প। ৬০০ কোটি টাকার প্রকল্প। আর এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গিয়েই বারাণসীতে তৈরি হচ্ছে ক্ষোভের ফুলকি। গঙ্গায় ললিতা ঘাট-জলসেন ঘাট থেকে সরাসরি কাশী বিশ্বনাথ মন্দির। করিডরের মধ্যে নানা মন্দির। থাকবে সংগ্রহশালাও, তীর্থযাত্রীরা দেখবেন কাশীর সমাজ-সংস্কৃতির ইতিহাস। আর এখানেই তৈরি সমস্যা। সেই কাজটি করতে গিয়ে এখনও পর্যন্ত ভাঙতে হয়েছে কয়েকশো বাড়ি। শহরের পুরনো এলাকার বহু গলি মহল্লার প্রাচীন মন্দির ভেঙে তৈরি হচ্ছে করিডরের স্থান৷ এতে লেগেছে অনুভূতিতে আঘাত৷
গত নির্বাচনে বারাণসীতে মূল লড়াই হয়েছিল বিজেপি ও আম আদমি পার্টির মধ্যে৷ মোদী-কেজরিওয়াল লড়াইয়ের সেই ধুন্ধুমার পর্ব অন্তে দুটি দলেরই প্রধান নেতার জনপ্রিয়তা নিম্নমুখী৷ এবার লড়াইটা হচ্ছে মোদী বনাম সপা-বসপা মহাজোট ও কংগ্রেসের মধ্যে৷ ত্রিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মোদীর পক্ষে কত ভোট পড়ে সেটাই লক্ষ্যনীয়৷
যদিও রাজনৈতিক লড়াইয়ের সূচকটা গিয়ে দাঁড়িয়েছে সেই গলি মহল্লার বারাণসীতে৷ ভেঙে চুরে নবরূপে বারাণসীকে তুলে ধরার চেষ্টায় ধাক্কা লেগেছে আবেগ৷ তবুও বিশ্বনাথ করিডরকে ঘিরে জমছে রাজনীতির অঙ্ক।