‘প্রধান বিভাজক নরেন্দ্র মোদী৷’ প্রখ্যাত টাইম ম্যাগাজিনের কভারে মোদীর ছবির সঙ্গে এমন মন্তব্য নিয়ে উত্তাল রাজনীতি৷ এবার সেই নিয়ে প্রথমবার মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী৷ পার্টির সুরেই সুর মিলিয়ে মোদী বলেন, ‘টাইম ম্যাগাজিন বিদেশি পত্রিকা। আর যিনি এই প্রতিবেদন লিখেছেন তিনি পাকিস্তানি পরিবারের। এখানেই তো স্পষ্ট, তাঁর বক্তব্য কতটা গ্রহণযোগ্য।’
মোদীর এই মন্তব্য থেকেই স্পষ্ট, টাইম ম্যাগাজিনের ওই প্রতিবেদনকে পাত্তা দিচ্ছেন না তিনি। পাত্তা দিচ্ছেন না তার কারণ, ওই প্রতিবেদনের লেখক একজন পাকিস্তানি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, মোদী এই মন্তব্য করে বুঝিয়ে দিলেন মেধা, তথ্য এবং পরিসংখ্যানের কোনও মূল্য নেই তাঁর কাছে। তাই তাঁর বিরুদ্ধে আনা বিভাজনের অভিযোগ ভিত্তিহীন৷
বিজেপির মেরুকরণের রাজনীতির সমালোচনা করে মোদীর সমালোচনায় সরব হয়েছিল মার্কিন ম্যাগাজিনটি৷ কভার ছবিতে মোদীকে ‘প্রধান বিভাজক’ বলে কটাক্ষ করে আন্তর্জাতিক ম্যাগাজিনটি৷ পাশাপাশি, প্রকাশিত কভার স্টোরিতে ম্যাগাজিনটি প্রশ্ন তোলে, বিজেপির হিন্দুত্ববাদের রাজনীতি এবং মোদির আমলে ভারতের অখণ্ডতা রক্ষার পদ্ধতির বিষয়েও৷ নির্বাচনের মরশুমে আন্তর্জাতিক ম্যাগাজিনটির এই প্রতিবেদন অস্বস্তি বাড়িয়েছিল বিজেপি নেতৃত্বের৷
ওই প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পরেই প্রতিবেদক আতীশ তাসিরকে বিদ্ধ করেছিলেন বিজেপির মুখপাত্র সম্বিত পাত্র। বলেছিলেন, ‘একজন পাকিস্তানির কাছ থেকে এর থেকে ভালো কী আশা করা যায়’! এই প্রবন্ধটি রিটুইট করার জন্য কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীকেও কটাক্ষ করেছিলেন সম্বিত। এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও দলের সুরেই সুর মিলিয়ে বললেন, ‘টাইম ম্যাগাজিন হল একটি বিদেশি সংবাদমাধ্যম৷ আর এর লেখক একটি পাকিস্তানি রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য৷ তাই এমন ব্যাখ্যার গ্রহণযোগ্যতার জন্য এটুকু তথ্যই যথেষ্ট’৷
প্রসঙ্গত, ভারতীয় সাংবাদিক তভলিন সিং এবং পাকিস্তানি রাজনীতিক তথা ব্যবসায়ী সলমন তাসিরের ছেলে আতীশ। টাইম ম্যাগাজিনের বিতর্কিৎ প্রতিবেদনটি তাঁরই লেখা।