সপ্তম দফার ভোটগ্রহণ এখনও শেষ হয়নি। তার আগেই বিজেপি বিরোধী ঐক্যে সলতে পাকাতে মাঠে নেমে পড়লেন টিডিপি সুপ্রিমো চন্দ্রবাবু নায়ডু৷ শনিবার দিনভর দফায় দফায় তিনি বৈঠক করলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী, এনসিপি, বিএসপি, এসপি সুপ্রিমোদের সঙ্গে৷ সেখানে আসন্ন নতুন সরকার গঠনে অবিজেপি শক্তিগুলিকে ফের এক ছাদের নিচে এনে ভবিষ্যৎ কর্মসূচির রূপরেখা আরও একবার ঝালিয়ে নিলেন চন্দ্রবাবু নায়ডু৷
২৩ তারিখে দিল্লীতে সোনিয়া গান্ধীর সভাপতিত্বে বৈঠকে বসবে মহাজোটের দলগুলি। তার আগেই দফায় দফায় বৈঠক শুরু করে দিয়েছেন বিরোধীরা। শেষদফা ভোটের আগেই মুখোমুখি বসলেন চন্দ্রবাবু নাইডু এবং রাহুল গান্ধী। তার আগে দিল্লীতে এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ারের সঙ্গে একদফা বৈঠক সেরেছেন চন্দ্রবাবু নাইডু।
জানা গিয়েছে, রাহুলের সঙ্গে দিল্লীতে বৈঠক করার পর তিনি উত্তর প্রদেশের লখনউয়ে বিএসপি নেত্রী মায়াবতী এবং এসপি নেতা অখিলেশ যাদবের সঙ্গেও বৈঠক করবেন। রাহুলের সঙ্গে বৈঠকের আগে তিনি সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি এবং আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে সম্ভবত ভোট পরবর্তী জোট নিয়েই আলোচনা হয়েছে। এবার সবশেষে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে আলোচনা সেরে নিলেন চন্দ্রবাবু৷ রাজ্যে এখনও ভোটপর্ব শেষ হয়নি৷ তাই এতদিন প্রচারে ব্যস্ত ছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এদিনের বৈঠকে তিনি সশরীরে না থাকলেও, টেলিফোনে চন্দ্রবাবুর সঙ্গে কথা হয়েছে বলে সূত্রের খবর৷
গতকাল চন্দ্রবাবু জানিয়েছিলেন, বিজেপি বিরোধী সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তিনি হাত মেলাতে প্রস্তুত। তাতে কেসি আর থাকলেও আপত্তি নেই তাঁর। তেলঙ্গানা নিয়ে কেসি আরের সঙ্গে বিবাদ চন্দ্রবাবু নাইডুর নতুন নয়। চরম বিরোধী দলকেও বিজেপির বিরুদ্ধে জোট গড়তে কাছে টেনে নিতে প্রস্তুত এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।