লোকসভা নির্বাচনের শেষ অফা আগামীকাল। তবে বিগত দফার ভোট শেষ হয়ে যাওয়া প্রার্থীরা এখন স্বস্তির মেজাজে। কারণ ওঁদের ভোট শেষ। আর তাই কেউ তারাপীঠে গেলেন। কেউ আবার রমজান নিয়ে ব্যস্ত। যদিও উপনির্বাচনের প্রচার নিয়ে ব্যস্ত কেউ কেউ। তবে ব্যারাকপুরের তৃণমূল প্রার্থী দীনেশ ত্রিবেদী বৃহস্পতিবারই কোয়েস্ট মল–এ স্ত্রীকে নিয়ে ‘কণ্ঠ’ সিনেমা দেখেন। সিনেমা দেখে অভিভূত দীনেশ। বললেন, ‘এই সিনেমা সকলের দেখা উচিত। প্রত্যেকের অভিনয় ভাল। কাহিনীর তুলনা নেই।’ শুক্রবার সকালে পরিবার নিয়ে তারাপীঠে পুজো দিয়েছেন দীনেশ ত্রিবেদী। জয়ের ব্যাপারে দীনেশ নিশ্চিত। দীনেশ বলেন, “অনেক জায়গা থেকে খবর পাচ্ছি, বিজেপি ভাল ভোট করতে পারেনি। সিপিএম–ও না। দিদিকে হাতজোড় করে বলেছিলাম, ‘অর্জুন দলে থাকলে সর্বনাশ হয়ে যাবে। যাই হোক, অনেক পরে ও বিজেপি–তে চলে যায়”।
মালদাতেই রয়েছেন মৌসম নুর। রমজান মাস। তাই নমাজের শেষে বললেন, “জেতার তো কথা। দিদি প্রচুর উন্নয়ন করেছেন। হবিবপুরের উপনির্বাচনে প্রচারও করেছি। ২৩ মে সব বোঝা যাবে। এখন মালদাতেই থাকব”। রানাঘাটে সত্যজিৎ বিশ্বাস খুন হওয়ার পর লোকসভায় তাঁর স্ত্রী রুপালি বিশ্বাসকে প্রার্থী করেছেন মমতা। একটি ছেলে। ভালভাবে হাঁটতে শেখেনি। মায়ের কোলেই সারাদিন থাকতে চায়। শুক্রবার ছেলেকে পোলিও খাইয়ে নিয়ে এসেছেন রুপালি। তিনি বলেন, “ভোট হয়ে যাওয়ার পর কিছুটা সময় পাওয়া গেল। রান্নাবান্না করছি। ছেলেকে দেখতে হচ্ছে। অনেকেই তো বলছে, আপনি জিতবেন”। উলুবেড়িয়া থেকে উপনির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছিলেন প্রয়াত সুলতান আহমেদের স্ত্রী সাজদা আহমেদ। রমজানের উপোস চলছে সাজদার। তিনি বললেন, “এবার আরও বেশি ভোটে জিতব। উলুবেড়িয়ায় বহু কাজ হয়েছে। ওখানকার মানুষ পরিষেবা পেয়েছেন। তাঁদের অভাব–অভিযোগ কিছুটা হলেও মেটানো গেছে। উলুবেড়িয়ায় বিজেপি কোনও ফ্যাক্টর হবে না”।
ভাটপাড়ায় উপনির্বাচনে মদন মিত্রের হয়ে প্রচার করেছেন দীনেশ। দীনেশ বলেন, “যারা আমাকে খবরাখবর দিচ্ছে, তারা কিন্তু খুবই খুশি। তাদের চোখমুখ দেখে মনে হয়েছে, গতবারের তুলনায় এবার আরও বেশি ভোটে জিতব। আমি তো এলাকাতেই থাকি। মানুষের পাশে থাকতে ভাল লাগে। এটুকু বুঝেছি, অর্জুনকে কেউ পছন্দ করে না”। বাঁকুড়ার ভোট শেষ হয়ে যাওয়ার পরেই কলকাতায় ফিরে এসেছেন প্রার্থী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। বাঁকুড়া থেকে ফিরে এসেই দক্ষিণ কলকাতায় ভোটের কাজে নেমে পড়েছেন। নিজের বিধানসভা কেন্দ্র বালিগঞ্জে কাজ করছেন। সকালে উঠে ব্যায়াম সেরে কাজ শুরু করছেন। ফোনে কর্মীদের নির্দেশ দিচ্ছেন। যাঁরা আসছেন তাঁদের সঙ্গে কথা বলছেন। তিনি বললেন, “জয়ের ব্যাপারে আমি আশাবাদী”।