আগামীকালই লোকসভা নির্বাচনের শেষ দফার ভোটগ্রহণ। বাংলায় ৯ টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হবে। এর আগে বাকি দফায় বারবার বিজেপির বিরুদ্ধে টাকা বিলি করার অভিযোগ ওঠে। বিভিন্ন জয়গা থেকে টাকা উদ্ধারও করেছেন পুলিশ। নির্বাচনের সময় বেহিসেবি টাকা বিলি ও হাওয়ালার মাধ্যমে টাকা লেনদেনের অভিযোগ উঠল রাজ্য বিজেপির কোষাধ্যক্ষ সাওয়ার ধানানিয়ার বিরুদ্ধে। এবিষয়ে তাঁকে জেরা করার জন্য তলব করেছে সিআইডি।
গত ১৪ মে সাওয়ার ধানানিয়া-সহ আরও একজনকে পরেরদিন ভবানী ভবনে হাজিরা দেওয়ার জন্য নোটিস পাঠানো হয় বলে খবর। কিন্তু, তাঁর পরিবারের তরফে নাকি জানানো হয় সাওয়ার ধানানিয়া কলকাতায় নেই। ১৯ কিংবা ২০ মে ফিরবেন।
গত ১২ মে আসানসোল স্টেশন থেকে দিলীপ ঘোষের প্রাক্তন আপ্তসহায়ক গৌতম চট্টোপাধ্যায় এবং দিল্লির বিজেপি নেতা লক্ষ্মীকান্ত সাউকে এক কোটি টাকা-সহ গ্রেপ্তার করে রেল পুলিশ। পরে সেই মামলার তদন্ত শুরু করে সিআইডি। ধৃতদের জেরা করে লোকসভার সময় হাওয়ালার মাধ্যমের টাকা পাচারের যোগসূত্রও খুঁজে পায় তারা। গত এক মাসে ধৃত লক্ষ্মীকান্ত সাউ কলকাতা এবং ওড়িশার একাধিক হাওয়ালা কারবারির থেকে প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকা তুলেছেন। এবং সেই টাকা ব্যবহার করা হয়েছে এবারের লোকসভা নির্বাচনে। এরপর সাওয়ার ধানানিয়াকে ভবানী ভবনে ডেকে পাঠায় সিআইডি।
আসানসোলের বার্নপুরের বাসিন্দা বজরঙ্গীলাল আগরওয়াল নামে এক বিজেপি নেতাকেও নোটিশ পাঠানো হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বার্নপুরে বজরঙ্গীলাল আগরওয়ালের জ্ঞানভারতী নামে একটি বইয়ের দোকান আছে। ১২ মে খড়গপুর থেকে বার্নপুরে গিয়ে তাঁর থেকেই এক কোটি টাকা নিয়েছিলেন বলে ইতিমধ্যেই পুলিশকে জানিয়েছেন ধৃতরা। জানা গেছে যে রাজ্য বিজেপির কোষাধ্যক্ষ সাওয়ার ধানানিয়ার নির্দেশে ওই টাকা নিয়ে ফেরার সময় আসানসোল স্টেশনে ধরা পড়েন তাঁরা।
নির্বাচনী প্রচার শুরু হওয়ার পরেই ভোট কিনতে বিজেপি টাকা বিলি করছে বলে অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই অভিযোগ যে নির্ভুল তার প্রমাণ মিলেছে গত কয়েকদিনে একাধিক বিজেপি নেতার কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া টাকা এবং তাঁদের স্বীকারোক্তি থেকে। তার মধ্যেই বিজেপির কোষাধ্যক্ষকে তলব করায় কোণঠাসা হয়ে পড়েছে গেরুয়া শিবির।