এবারে হাওড়ার উলুবেড়িয়া লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী ছিলেন বিদায়ী সাংসদ তথা প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ সুলতান আহমেদের স্ত্রী সাজদা আহমেদ। গত ৬মে পঞ্চম দফার ভোট ছিল উলুবেড়িয়ায়। ভোটের আগে তো চলছিলই, ভোটের পরও রেহাই পেলেন না সাজদা। বিজেপি নেতা-কর্মীদের তরফে ক্রমাগত কুকথা শুনতে হচ্ছে তাঁকে। তাঁর সম্মানহানির চেষ্টায় ক্রমাগত ছড়ানো হচ্ছে ফেক নিউজ। দিনকয়েক আগেই সাজদার নামে কয়েকটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে মিথ্যা ও কুরুচিকর মন্তব্য করার জন্য বুধবার হাওড়ার পুলিশ সুপারের কাছে দুই ফেসবুক ব্যবহারকারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন ওঁর নির্বাচনী এজেন্ট জোয়াহির রাহি।
তিনি অভিযোগ করেছিলেন, ‘হিমাদ্রি ভট্টাচার্য নামে এক ব্যক্তি ওনার ফেসবুক প্রোফাইলে ওই ভিডিওর ছবির স্ক্রিনশট ব্যবহার করে সাজদা আহমেদের নামে কুৎসা প্রচার করছেন। এরা মূলত বিজেপির হয়েই কাজ করেন।’ উল্লেখ্য, হিমাদ্রি ভট্টাচার্য নামক ব্যক্তির ফেসবুক ওয়ালে যে ভিডিওটি দিয়ে তা সাজদার বলে রটনা করা হচ্ছে, তা আসলে সাজদা নয়, অন্য একজন মহিলা। হ্যাঁ, ভিডিওটির ছবি অথবা গলা কোনওটাই সাজদা আহমেদের নয়। অথচ সেখানে বলা হয়েছে যে, সাজদা আহমেদ বাংলায় হিন্দুদের অনুষ্ঠান করতে দিচ্ছেন না। রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি মুসলিমদের তিনি এখানে আশ্রয় দিতে চান।
ভিডিওটির সাথে ওই ব্যক্তি ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘টিএমসি-এর হাওড়া জেলার উলুবেড়িয়া লোকসভার প্রার্থী সাজদা আহমেদ প্রকাশ্যে নির্লজ্জের মতো বলেছেন, হিন্দূদের রামনাম, হরিনাম তিনি বরদাস্ত করবেন না। এছাড়াও পশ্চিমবাংলায় রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশী মুসলিমদের তিনি আশ্রয় দেবেন। তৃনমূল কংগ্রেস প্রকাশ্যেই এ রাজ্যকে পাকিস্তান তৈরি করতে উঠে পড়ে লেগেছে।'(বানান অপরিবর্তিত) এমনই নানা মিথ্যে অভিযোগ আনা হয়েছে ভুয়ো ভিডিওটি শেয়ার করে।
গেরুয়া বাহিনীর সদস্যদের এই ধরনের প্ররোচনামূলক প্রচারকে সাজদা আহমেদের পক্ষে সম্মানহানিকর বলে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়। জোয়াহির রাহি আরও বলেন, ‘এই ধরনের মিথ্যা কুৎসা ছড়িয়ে বিজেপি রাজ্যের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করছে। আপাতত আমরা পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছি।’ বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করেছেন হাওড়ার পুলিশ সুপার। আপাতত এটি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছেন তাঁরা।