পাঁচ বছর ভারতের প্রধানমন্ত্রী পদে কাটিয়ে দিলেন মোদী। তার মধ্যে বিদেশি সফর থেকে শুরু করে করেছে অনেক জনসভা। কিন্তু এর মধ্যে দেশে একবারের জন্যও সাংবাদিক সম্মেলন করেননি তিনি। বিদায়ের শেষ লগ্নে এসে অমিত শাহের সঙ্গে সাংবাদিক বৈঠক করলেন তিনি। তবে কার্যত পুতুলের ভূমিকাতেই থাকলেন তিনি। শুক্রবার বিকেলে বিজেপির সদর দফতরে এক ঝাঁক সাংবাদিকদের সামনে বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী হাজির ছিলেন , কিন্তু কোনও প্রশ্ন বাণে তিনি মুখ খুললেন না৷ সব প্রশ্নের জবাব দিলেন দলীয় সভাপতি অমিত শাহ৷ যা দেখে বিভিন্নমহলের মনে হয়েছে, একেবারে পুতুলের মতো মোদীকে পাশে বসিয়ে রাখলেন অমিত শাহ।
সাধারণত মোদী সম্পর্কে বদনাম তিনি সাংবাদিক বৈঠক করেন না৷ কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে গোটা দেশ ঘুরে ঘুরে প্রচার করার সময় তিনি বিভিন্ন জাতীয় এবং আঞ্চলিক সংবাদ মাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন ঠিকই ৷ কিন্তু ওই অবধি ৷ একসঙ্গে বহু সাংবাদিকের মুখোমুখি হননি তিনি৷ নানা দিক থেকে নানা বিষয়ে সাংবাদিকদের একের পর এক প্রশ্ন বাণ ধেয়ে আসেনি ইদানিং কখনই তাঁর দিকে ৷ কিন্তু আজ সেটা হতে পারত কিন্তু হয়েও হল না৷ দলীয় সভাপতি অমিত শাহ যেন তাঁকে আগলে রাখলেন৷ মোদীর উদ্দেশ্য আসা প্রশ্নও তিনিই জবাব দিলেন।
ক্ষমতার লড়াইয়ের জেরে পার্টির অন্দরে কে বড় এই নিয়ে বিতর্ক হয়৷ তবে এটা ঠিক, এদিনের সাংবাদিক বৈঠকটি পিএমও থেকে আয়োজন করা হয়নি৷ আয়োজন করা হয়েছে বিজেপি দলের পক্ষ থেকে এবং হয়েছে দলের সদর কার্যালয়ে৷ দলের উদ্যোগে আয়োজিত সাংবাদিক বৈঠকে প্রথাগতভাবে দলের যিনি শীর্ষপদে রয়েছেন তিনিই করে থাকেন৷ সেক্ষেত্রে এখানে সভাপতি হিসেবে অমিত শাহের বৈঠক করাটাই স্বাভাবিক ৷ কিন্তু দলীয় সভাপতি সভা করলেও প্রধানমন্ত্রীর মতো ব্যক্তি পাশে বসে থাকলেও তাঁকে কোনো কথাই বলতে দিলেন না তিনি। সুতরাং, এবারও কার্যত সাংবাদিক সম্মেলন থেকে বিরত থাকলেন মোদী