দুদিন আগেই বাঙালির কাছে নেমে এসেছিল ছন্দা গায়েনের স্মৃতি। অভিযানে প্রাণ হারায় কুন্তল কাঁড়ার এবং বিপ্লব বৈদ্য। এখনও তাঁদের মৃতদেহ শায়িত আছে কাঞ্জনজঙ্ঘায় চার নম্বর ক্যাম্পে। তাঁদের মৃতদেহ নামিয়ে আনার অভিযান শুরু করতে ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের উদ্যোগে কাঠমাণ্ডুতে পৌঁছেছে বাঙালি পর্বতারোহীদের একটি প্রতিনিধিদল। অন্য দিকে তুষারক্ষতে আক্রান্ত রুদ্রপ্রসাদ হালদার এবং রমেশ রায়কে নিয়ে আসা হয়েছে কাঠমাণ্ডু হাসপাতালের নিরাপদ আশ্রয়ে।
নির্মল পুর্জা নামের আরেক অভিযাত্রীর কোনো চেষ্টাই কাজে আসেনি। প্রাণ বাঁচে নি দুই বাঙালির। প্রসঙ্গত, গত বুধবার সকালেই ক্যাম্প ফোর থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা শিখরের উদ্দেশে পা বাড়িয়েছিল বাঙালি অভিযাত্রী দলটি। ক্যাম্প ফোর আর সামিটের মধ্যেই তাঁদের সঙ্গে দেখা হয় অন্য আরেকটি অভিযাত্রী দলের দুই পর্বতারোহী মিংমা ডেভিড শেরপা এবং নির্মল পুর্জার। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন গাইড গেশমান তামাং এবং দাওয়া শেরপা। ১৪ মে দুপুর ১১টার সময় তাঁরা কাঞ্জনজঙ্ঘা বেসক্যাম্পে এসে পৌঁছন। সেদিন রাত ১টাতেই তাঁরা সরাসরি কাঞ্জনজঙ্ঘা শিখরের উদ্দেশে রওনা দেন। একের পর এক ক্যাম্প পেরিয়ে টানা দশ ঘণ্টা ‘ক্লাইম্ব’ করার পর সকাল ১১টা ১৯ মিনিটে তাঁরা পৌঁছে যান কাঞ্জনজঙ্ঘা শিখরে। সেখান থেকে নামার সময়েই তাঁদের সঙ্গে দেখা হয় কুন্তল আর বিপ্লবের।
নিজের দলকে নিয়ে নিরাপদে নিচে ফিরে এলেও কেন ৫০ জন পর্বতারোহী থাকলেও কেউ একটু সাহায্যের হাত বাড়ালো না, সেই প্রশ্ন তুলেছেন নির্মল পুর্জা। যে সংস্থা বিপ্লবদের নিয়ে গিয়েছিল, সেই ‘পিক প্রোমোশন’-এর দিকেও প্রকারান্তরে অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
নিজের দলকে নিয়ে নিরাপদে নিচে ফিরে এলেও কেন ৫০ জন পর্বতারোহী থাকলেও কেউ একটু সাহায্যের হাত বাড়ালো না, সেই প্রশ্ন তুলেছেন নির্মল পুর্জা। যে সংস্থা বিপ্লবদের নিয়ে গিয়েছিল, সেই ‘পিক প্রোমোশন’-এর দিকেও প্রকারান্তরে অভিযোগ তুলেছেন তিনি।