গত মঙ্গলবার বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙা ও বিদ্যাসাগর কলেজে ভাঙচুরের ঘটনায় বিজেপির বড় মাপের নেতার মদত ছিল । পুলিশের দাবি, হেফাজতে থাকা অভিযুক্তদের জেরা করে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। এরপরেই বিজেপির ওই নেতাদের বিষয়ে তথ্যপ্রমাণ জোগাড় শুরু হয়ে গেছে। তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতেই এগোতে চাইছেন পুলিশ অফিসারেরা।
বৃহস্পতিবার আমাহারস্ট স্ট্রীট থানায় যান ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা। যে গাড়িগুলিতে আগুন দেওয়া হয়েছিল, তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। তবে বিদ্যাসাগরের মূর্তি যেখানে ছিল সেই জায়গাটা এতোটা ঘেঁটে গেছে, যে সেখান থেকে কতোটা প্রমাণ পাওয়া যাবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। কারণ ঘটনার পর একাধিক মানুষ সেখানে যাতায়াত করেছেন।
পুলিশের দাবি, সিসিটিভি ফুটেযে দেখা গেছে, এক ব্যক্তি কলেজের দরজা ভেঙে ঢোকার পর সোজা বিদ্যাসাগরের মূর্তির কাছে যাচ্ছে। প্রথমে সেই ব্যক্তি মূর্তিকে আঘাত করে, তারপর তা টেনে তোলার চেষ্ঠা করে। এরপর ওই ব্যক্তির সঙ্গে যোগ দেন কয়েকজন ব্যক্তি। সূত্রের খবর, যে ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রথমে মূর্তিকে আঘাত করার অভিযোগ উঠেছে, তাঁকে চিহ্নিত করেছে ধৃতরা। পাশাপাশি অন্যদের ও শনাক্ত করা গেছে। তাঁরা কলকাতা ও বর্ধমানের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।