তাঁর পরিচয় শুধু মাত্র বাংলা সিনেমা জগতের জনপ্রিয় অভিনেতা তা নয়। তিনি লোকসভা ভোটে ঘাটালের তৃণমূল প্রার্থী। অভিনয় দিয়ে মানুষের মন পাওয়ার থেকেই অভিনেতা দেব রাজনীতির মঞ্চে নিজেকে সফল প্রমাণিত করেছেন। মানুষের জন্য দেব যা যা করেছেন মানুষের মনে তা সবসময় রয়ে যাবে। অভিনেতা নয় নিজেকে মাটির খুব কাছাকাছি রাখেন্ দেব। তাই এতো সাধারণ মানুষের ভালোবাসা পান। ভোট প্রচারে দিন রাত ব্যয় করছেন । তাও এনার্জি বিন্দু মাত্র কমেনি। দেব জানালেন, “আমি তো কিছু পেতে, কোনও স্বার্থ নিয়ে পলিটিক্সে আসিনি। আমি মানুষের কাছে পৌঁছতে চেষ্টা করেছি। অনেস্টি থাকলে এনার্জি এমনিই চলে আসে। আমি পাঁচ বছর সৎ থেকে কাজ করার চেষ্টা করেছি। আর মানুষের ভালবাসা, আশীর্বাদ তো আছেই”।
বাংলায় এতো হিংসা, এতো অশান্তির আবহেও শান্ত থাকেন দেব। তিনি মনে করেন অশান্তি করে, কারোর ক্ষতি করে রাজনীতি হয় না। দেব জানালেন, “আমরা আলটিমেটলি তো সবাই জেতার জন্য লড়ছি। তার জন্য বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙতে হবে বা রাজীব গাঁধীকে চোর বলতে হবে, তা তো নয়। আমরা যা করছি সবটাই জেতার জন্য। আমি প্রথম দিন থেকে জেতার জন্য আসিনি। কাজ করার জন্য এসেছি। তার জন্য কুকথা বলতে হবে, তা তো নয়। আমার ৪৫ দিনের ক্যাম্পেনে কোথাও দেখাতে পারবেন না, আমি কোনও খারাপ কথা বলেছি। যেটা খামতি আমার দলকে বলেছি। মমতাদি তো কাজ করছেন মানুষের উন্নয়নের জন্য”। ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে লাভ নেই, আসলে মানুষ শান্তি চায়, অশান্তি, মানুষে মানুষে ভেদাভেদ মানুষ চায় না। তাই জয় শ্রী রাম বলে মানুষকে বোকা বানানো যায় না। মানুষ অবুঝ নয়।
বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার প্রসঙ্গে দেব বলেন, “মোদীজি, অমিতজি কিন্তু দিল্লিতে ভাষণ দিচ্ছেন। আর মার খেয়েছে কলকাতার চারটে ছেলে। যে দলেরই হোক। মার খেয়েছে সাধারণ মানুষ। ছাত্রছাত্রীরা। ব্যথা সারতে ওদের এক মাস লেগে যাবে। কিন্তু যাঁদের জন্য হল, তাঁরা এসি রুমে বসে আছেন। আমি বলব, ভোটটাকে ভোটের দিন পর্যন্ত ভাবুন। তার জন্য মারপিটটাকে আমি সমর্থন করি না। বিদ্যাসাগরের মূর্তি যারা ভেঙেছে তাঁরা জানেন না উনি কে? নিন্দনীয় ঘটনা যা বাঙালি মন থেকে মানতে পারবেন না কখনোই”।