মোহিন্দর অমরনাথ। যাঁর ব্যাটিং এবং বোলিং দক্ষতাই ১৯৮৩ সালে ভারতের বিশ্বকাপ জয়ের পিছনে অন্যতম কারণ ছিল। ফাইনালে ম্যাচের সেরা হয়েছিলেন মোহিন্দর।ইংল্যান্ডের পরিবেশে কাপ জিততে হলে দলে ভাল অলরাউন্ডার দরকার। এমনটাই মত মহিন্দার অমরনাথের।
অমরনাথ বলেছেন, ‘যে দলে দুই থেকে তিনজন ভাল অলরাউন্ডার থাকবে। সেই দলের ভারসাম্যও বেশি হবে। দলে বিকল্প বাড়বে।’ মিডিয়াম পেসার হিসেবে কেরিয়ার শুরু করেছিলেন অমরনাথ। তারপর দলের নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান হয়ে উঠেছিলেন। অমরনাথের বিশ্বাস, ‘সাদা বল বেশি সিম করবে না। তাছাড়া ইংল্যান্ডে এবার সবুজ উইকেটও দেখা যাবে না। তবে আবহাওয়ার একটা প্রভাব থাকবে।
মোহিন্দর মনে করেন, অলরাউন্ডারদের বাড়তি পরিশ্রম করা উচিত নিজেদের ব্যাটিং-বোলিংয়ের মান বাড়ানোর জন্য। না হলে কোনওটাতেই দক্ষ হয়ে উঠতে পারবে না। মোহিন্দরের মন্তব্য, ‘‘এক জন সত্যিকারের অলরাউন্ডার কিন্তু দলের চতুর্থ বা পঞ্চম বোলার হবে না। সে নিয়মিত বোলার হতেই পারে। ওয়ান চেঞ্জে বল করতে আসতেই পারে। পাশাপাশি এক জন ভাল অলরাউন্ডার তাকেই বলা যাবে যে উপরের দিকে ব্যাট করতে পারবে। সে রকম এক জন অলরাউন্ডার পেলে যে কোনও দলের ভারসাম্য বদলে যাবে।’’
মোহিন্দর মনে করেন, এই বিশ্বকাপে সে সব অলরাউন্ডারই পার্থক্য গড়ে দিতে পারেন যাঁরা প্রথম ছয়ে ব্যাট করবেন এবং পুরো ওভার বল করার ক্ষমতা রাখবেন। মোহিন্দর বলেন, ‘‘কেউ যদি সাত, আট, নয় নম্বরে ব্যাট করতে নামে, তা হলে তার পক্ষে ম্যাচে প্রভাব ফেলা কঠিন হয়ে যাবে। বেশির ভাগ সময়ই ম্যাচের ভাগ্য আগেই ঠিক হয়ে যাবে। তাই এমন এক জনকে দরকার, যে প্রথম ছয়ে ব্যাট করতে পারবে আবার ১০ ওভার বল করতেও সমস্যায় পড়বে না।’’ ভারতের সেরা অলরাউন্ডার হার্দিক পাণ্ড্য অবশ্য ব্যাট করেন সেই সাত নম্বরেই।