গত মঙ্গলবার কলকাতার বুকে অমিত শাহের রোড–শো’র দিন বিদ্যাসাগর কলেজে ভাঙচুর চালিয়েছিল গেরুয়া বাহিনী। বাঙালির ‘আইকন’ বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার ফলে মুখ পুড়েছে বিজেপির। এমনকি উত্তরপ্রদেশে দাঁড়িয়ে বিদ্যাসাগরের পঞ্চরত্নের মূর্তি বানিয়ে দেওয়ার কথা বলেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু বাংলা বিদ্যাসাগরের মূর্তি বানানোর ক্ষমতা রাখে। যদিও বাংলার মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, মোদীর দেওয়া সাহায্য বাংলা নেবে না।
তবে পাল্টা ভোটের মাধ্যমে এই ঘটনার বদলা নেওয়ার জন্য ভোটারদের আবেদন করেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলনে তৃণমূলের মহাসচিব তথা রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী স্পষ্ট জানালেন বিদ্যাসাগরের মূর্তি গড়বে রাজ্যই। পাশাপাশি দ্রুত শেষ করা হবে সংগ্রহশালার কাজও। তিনি বলেন, “বিদ্যাসাগরের মূর্তি গড়বে রাজ্যই। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতেই জানিয়েছিলাম, বিদ্যাসাগরের ব্যবহৃত সামগ্রী নিয়ে তৈরি হবে সংগ্রহশালা। এবার সেটার কাজও দ্রুত শেষ হবে। পাশাপাশি আগামী ২০ সেপ্টেম্বর থেকে ২৬ সেপ্টেম্বর সমস্ত স্কুলে সপ্তাহব্যাপী বিদ্যাসাগরের জন্ম দ্বি–শতবর্ষ পালন করা হবে”।
বৃহস্পতিবার রাতে নাগেরবাজার কাণ্ডে পার্থ–র কটাক্ষ, “তিনজন এক হয়েছে। কেউ টাকার জন্য, কেউ ভেসে ওঠার জন্য এক হয়েছে। তবে আমি বলব, যাঁরা বিদ্যাসাগরকে অপমান করে, তাদের সঙ্গে আর নিজেদের জড়াবেন না। কাল যে ধরা পড়েনি, এটাই ভাগ্য ভাল। ওই টাকা পেল কীভাবে? পল্টু দাশগুপ্ত কেন নাগেরবাজারে গিয়েছিলেন। পালিয়ে গেল কীভাবে কে জানে?” এরপর পার্থবাবু বলেন, “যাঁরা মূর্তি ভেঙেছে, তাঁরা এখন লজ্জা ঢাকতে পারছেন না। ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা গিয়েছে, গায়ে গেরুয়া উত্তরীয় পড়া লোকজনই মূর্তি ভেঙেছে। এ ধরনের জঘন্য কাজ বাংলা ক্ষমা করবে না। এই বর্বরোচিত কাজ যাঁরা করেছে তাঁদের ক্ষমা নয়। বিজেপির এই কাজে আমরা নিজেরাই লজ্জিত”।