শেষমেশ জল গড়াল আদালতের দিকেই। এবার আদালতেই নির্ধারিত হবে পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা কেন্দ্রের ভবিষ্যৎ৷ এই কেন্দ্রের নির্বাচনে ব্যাপক রিগিংয়ের অভিযোগ ঘিরে জাতীয় রাজনীতিতে আলোড়ন ছড়িয়েছে৷ জানা গেছে, এই আসনটির কোনও নির্দিষ্ট সংখ্যক বুথ নয়, বরং সমগ্র আসনেই পুনরায় নির্বাচন চেয়ে মামলা করেছেন গতবারের সাংসদ শঙ্কর প্রসাদ দত্ত৷ তারই শুনানি হওয়ার কথা শুক্রবার৷
প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় পশ্চিম ত্রিপুরা কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ হয়৷ রাজ্যে বাম শাসন সরিয়ে এখন বিজেপি-আইপিএফটি জোট সরকার চলছে৷ নির্বাচনের দিন একের পর রিগিং ও সংঘর্ষের ঘটনায় পশ্চিম ত্রিপুরার সর্বত্র ছিল উত্তপ্ত৷ অভিযোগ ওঠে বিজেপি সমর্থকরা বুথ দখল করে ছাপ্পা মারছে৷ প্রতিবাদে বিরোধী সিপিএম ও কংগ্রেসের তরফে নির্বাচন কমিশনে পুনঃনির্বাচনের আবেদন করা হয়৷ যদিও সব অভিযোগ উড়িয়ে দেয় বিজেপি৷
তবে নির্বাচন কমিশনের তদন্তে উঠে এসেছে ব্যাপক রিগিং ও ছাপ্পার বিষয়টি৷ কংগ্রেসের পক্ষ থেকে পশ্চিম ত্রিপুরা আসনের ৪৩৩ টি বুথে পুনরায় ভোট চেয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। সুপ্রিম কোর্ট থেকে বিষয়টি পাঠানো হয় নির্বাচন কমিশনে। বৃহস্পতিবারই কংগ্রেসের এক প্রতিনিধি দল দেখা করেন কমিশনে। ছিলেন অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি, জয়রাম রমেশ এবং ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি মহারাজা প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মা নির্বাচন কমিশনে। তারা ৪৩৩ বুথে পুনঃনির্বাচন নিয়ে তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন।
এই লোকসভা কেন্দ্রের গতবারের বাম সাংসদ শঙ্কর প্রসাদ দত্ত রিগিংয়ের অভিযোগ তুলে সুপ্রিম কোর্টে পুনরায় ভোট করার আবেদন করেছিলেন৷ সুপ্রিম কোর্ট তাকে ত্রিপুরা হাইকোর্টে আবেদন করতে বলে। বর্তমান সাংসদ বুধবার ত্রিপুরা হাইকোর্টে আবেদন করেন। আদালতেই ফয়সালা হবে ভোট চিত্র৷ অন্যদিকে পূর্ব ত্রিপুরা আসনেও ভোটের আগে থেকে তীব্র উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল৷ সেখানে ভোটের দিন পিছিয়ে দিয়ে আরও নিরাপত্তা সহ ভোট করানো হয়েছে৷