গত মঙ্গলবার বিজেপির গুন্ডাবাহিনীর দাপটে উত্তপ্ত হয়েছিল কলকাতা। ওইদিন শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে ছিলেন গেরুয়া দলের কর্মী-সমর্থকরা। অমিত শাহের রোড শো শুরুর আগে ধর্মতলায় নির্বাচন কমিশনের গাড়িতে ভাংচুর চালানো হয়। তারপর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজস্ট্রিট ক্যাম্পাস শেষে সেই আক্রোশে বাদ গেল না বিদ্যাসাগর কলেজ। ভাঙা পড়ে বিদ্যাসাগরের মূর্তিও।
বিদ্যাসাগর কলেজে বসানো হবে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের নতুন মূর্তি। ইতিমধ্যে হামলায় ক্ষয়ক্ষতির একটি রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের কাছে। ভোটের পর আরও একটি বৈঠক করবে কলেজ। সেখানে নতুন মূর্তি এবং কোনো শিল্পীকে তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হবে তা নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
বৃহস্পতিবার বিদ্যাসাগর কলেজের অধ্যক্ষ গৌতম কুন্ডু। জানান যে ১২ লক্ষ টাকারও বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের কাছে। ভোটের পর কলেজে নতুন মূর্তি বসানো হবে। অধ্যক্ষ জানান যে ভাঙা দরজা জানালা সারানো হবে। তৈরি করতে হবে নতুন আসবাব। ছাত্রদের বাইক ও কলেজের ইন্টারনেট সংযোগের কাজ করতে আসা কর্মীদের সাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও প্রক্রিয়া চলবে। এদিন ছিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট বৈঠক। তার আগে বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার প্রতিবাদে ১ মিনিট নীরবতা পালন করেন উপাচার্য সহ অন্যান্যরা।
এদিনও কলেজের পরিস্থিতি ছিল থমথমে। দুটি গেটই লোহার চেন দিয়ে বন্ধ করে রাখা হয়েছে। ছাত্রছাত্রী, অধ্যাপক ও শিক্ষাকর্মী ছাড়া কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল সংখ্যক পুলিশ। কলেজের সামনের ফুটপাত গার্ডরেল দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে। তবে পঠনপাঠন স্বাভাবিক রয়েছে।কলেজে হামলা ও বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার প্রতিবাদে এদিন একটি মৌন মিছিল করা হয়।