যোগী গোরক্ষনাথের নামে শহরের নাম গোরক্ষপুর। শিলিগুড়িতে পা রাখলে যেমন শোনা যায় ‘দার্জিলিং-গ্যাংটক’, গোরক্ষপুর স্টেশন ছেড়ে বেরোলেও তেমনি কানে আসে ‘সোনাউলি-সোনাউলি’। এই জায়গাটি নেপাল সীমান্ত। নেপাল, ভারত এবং বাংলাদেশে ছড়িয়ে আছেন অগুনতি নাথ সম্প্রদায়ের মানুষ। উত্তরপ্রদেশেই রয়েছে নাথেদের সবচেয়ে বড় মঠ। রেলওয়ে স্টেশন থেকে অটোতে যা মাত্র মিনিট কুড়ির পথ। গৃহত্যাগী যোগী আদিত্যনাথের ডেরা এই মঠ। যদিও মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর সরকার আবাসনে চলে যান তিনি। তবে এ রাজ্যে এক সময়ের যুযুধান দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ ও মায়াবতী বিজেপিকে জোর টক্কর দিতে হাত মিলিয়েছেন। আর এই জুটিকে ঠেকাতেই ১৯ তারিখ শেষ দফার ভোট পর্যন্ত মঠেই থাকবেন তিনি।
গোরক্ষনাথ মন্দির চত্বরে সবাইকে জুতো খুলে ঢুকতে হয়। ক্যাম্পাসের ভিতরেই মঠ। প্রথম দেখায় মনে হয় যেন জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি। প্রায় একইরকম গঠনশৈলী। পুরনো আমলের দোতলা বাড়ি। বাগানে প্রচুর আম, জামরুল ও নিম গাছ। আম গাছের নীচেই রাখা সারি সারি চেয়ার। যোগীর দর্শনপ্রার্থী প্রায় জনা পঞ্চাশেক মানুষ। রাজ্যের কয়েকজন মন্ত্রীও আছেন। সম্ভবত সপ্তম দফায় ১৩ আসনের ভোট কৌশল নিয়ে বৈঠক। কিন্তু কারও পায়েই জুতো নেই। হ্যাঁ, খালি পায়েই এখানে আসেন ‘ভক্তরা’। তবে কেবল মঠের ‘মহারাজ’ যোগী আদিত্যনাথের ঘরের বাইরে রাখা একপাটি জুতো। হ্যাঁ, ‘বাবা গোরক্ষনাথের’ এই মঠে একমাত্র যোগীরই জুতো পরার হক রয়েছে। এ যে আসলে তাঁর একনায়কতন্ত্রী মনোভাবের পরিচয় বহন করে, তা বলাই বাহুল্য।