গত মঙ্গলবার বিজেপির গুন্ডাবাহিনীর দাপটে উত্তপ্ত হয়েছিল কলকাতা। ওইদিন শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে ছিলেন গেরুয়া দলের কর্মী-সমর্থকরা। অমিত শাহের রোড শো শুরুর আগে ধর্মতলায় নির্বাচন কমিশনের গাড়িতে ভাংচুর চালানো হয়। তারপর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজস্ট্রিট ক্যাম্পাস শেষে সেই আক্রোশে বাদ গেল না বিদ্যাসাগর কলেজ। ভাঙা পড়ে বিদ্যাসাগরের মূর্তিও। কিন্তু তা অস্বীকার করেছিল গেরুয়া শিবির। বৃহস্পতিবার এই আক্রমণের কথা পরোক্ষভাবে স্বীকার করে নিলেন মোদী।
বৃহস্পতিবার উত্তর প্রদেশের মৌ–তে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে যোগী আদিত্যনাথের হয়ে প্রচারে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা ওই জায়গাতেই বিদ্যাসাগরের বিশাল পঞ্চধাতুর মূর্তি গড়ে দেব।’ মোদির এই মন্তব্য একইসঙ্গে বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার পিছনে বিজেপির হাত থাকার অভিযোগ এবং বিজেপির আর্থিক ঔদ্ধত্য স্পষ্ট করছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কারণ, যেভাবে ভুল করলে মানুষ প্রায়শ্চিত্ত করে, তেমনই বিজেপির তরফে পাথরের মূর্তির বদলে দামি পঞ্চধাতুর মূর্তি বসানোর ঘোষণা, মূর্তি ভাঙার প্রায়শ্চিত্ত বলেই ধারণা বিশেষজ্ঞদের।
অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনী প্রচারের সময় কমিয়ে দেওয়া নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়িয়ে বৃহস্পতিবারই কমিশনকে তুলোধনা করেছেন মায়াবতী। এতেই রীতিমতো অশনিসঙ্কেত দেখছেন মোদী, মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল।