মোদী কদিন আগেই বফর্স মামলা টেনে এনেছিল আর প্রচারের বক্তৃতায়। এমনকি দেশের প্রাক্তন প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীকেও টেনে এনেছিলেন। নির্বাচনের মধ্যেই এই বফর্স মামলা নতুন মাত্রা যোগ হল। বফর্স নিয়ে ফের তদন্ত করার জন্য দিল্লির আদালতে আবেদন করেছিল সিবিআই। বৃহস্পতিবার সেই আর্জি নিজে থেকেই তুলে নিয়েছে গোয়েন্দা সংস্থা।
২০১৮ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ওই আবেদন করা হয়। এদিন চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নবীন কুমার কাশ্যপের কাছে সিবিআই আবেদন জানায়, তারা আর বফর্স নিয়ে তদন্ত করতে চায় না।
প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালের ৩১ মে দিল্লি হাইকোর্ট বফর্স মামলায় সব অভিযুক্তকে মুক্তি দেয়। ২০১৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি সিবিআই হাইকোর্টের ওই নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে। ২ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট সেই আর্জি নাকচ করে দেয়। বিচারপতিরা জানতে চান, হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে ১৫ বছর দেরি হল কেন? ২০০৫ সালে দিল্লি হাইকোর্টের বফর্স মামলা ডিসমিস হওয়ার আগে, ২০০৪ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি জে ডি কপুর প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীকে ওই অভিযোগ থেকে মুক্তি দেন।
সিবিআইয়ের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে বিচারক বলেন, কেন সিবিআই আর্জি প্রত্যাহার করে নিচ্ছে, সে তারাই ভালো জানে। তাদের সেই অধিকার আছে।