বিদ্যাসাগরের পঞ্চধাতুর মূর্তি গড়ে দেবেন বলে চূড়ান্ত ঔদ্ধত্য প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কয়েকঘণ্টার মধ্যেই দক্ষিণ ২৪ পরগণার মথুরাপুরের সভা থেকে তার জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাফ জানিয়ে দিলেন, ‘মূর্তি ভেঙে দিয়ে এখন আবার বানাবে বলছে। বাংলা ভিক্ষা চায় না। বাংলার ক্ষমতা আছে, বিদ্যাসাগরের মূর্তি বানানোর। বাংলাটার বাংলা বুঝে নেবে’।
এদিন সভার শুরু থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন আক্রমণাত্মক মেজাজে। মোদীর উদ্দেশ্যে তোপ দেগে বলেন, ‘ওর যদি এত মূর্তি বানানোর শখ, তাহলে আমাদের বলুক। বিদ্যাসাগরের মূর্তি ওকে বানাতে হবে না। বিদ্যাসাগর ওর মূর্তি বানিয়ে দেবে। মণিষীদের গায়ে হাত পড়লে রেয়াত করব না। বাংলার মানুষই ওর স্ট্যাচু বানিয়ে দেবে। অনেকেরই তো জীবদ্দশায় স্ট্যাচু হয়’! মমতার অভিযোগ, ‘অমিত শাহের নেতৃত্বেই বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙেছে বিজেপির গুন্ডারা। মূর্তি ভাঙা বিজেপির অভ্যাস। মীরাটে ওঁরা আম্বেদকরের মূর্তি ভেঙেছিল।’ গেরুয়া শিবিরকে মমতার হুঁশিয়ারি, ‘বাংলার মনীষীদের গায়ে হাত দিলে কেউ ছেড়ে কথা বলবে না। এর বদলা নিতে হবে। মূর্তি বানানোর টাকা বাংলার আছে। মোদীর দয়ায় বাংলা চলে না। কিন্তু দুশোর বছরের হেরিটেজ ফিরিয়ে দিতে পারবে?’ এলাকায় বিজেপির বিরুদ্ধে স্থানীয় মহিলাদের একজোট হওয়ার কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সংবিধানের ৩২৪ ধারা প্রয়োগ করে এ রাজ্যে সপ্তম দফা ভোটের প্রচারের সময়সীমা কমিয়ে দিয়েছে কমিশন। সেই প্রসঙ্গ তুলে মমতা বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন বিজেপির কাছে বিক্রি হয়ে গিয়েছে। বিজেপির স্বার্থে প্রচারের দিন কমিয়ে দিয়েছে। এর আগে এত গরমেও কখনও ভোট হয়নি’। তাঁর কথায়, ‘ডায়মন্ড হারবারে মোদীর সভার পর আর কোনও রাজনৈতিক দল প্রচার করতে পারবে না। বিজেপির স্বার্থে প্রচারের সময়সীমা কমিয়েছে কমিশন। কিন্তু চক্রান্ত করে তাঁকে আটকানো যাবে না’।