কলকাতার বুকে অমিত শাহের মিছিলকে কেন্দ্র করে গেরুয়া শিবিরের তান্ডবের ক্ষততে দগদগে তিলোত্তমা। আর তার মধ্যেই লোকসভা ভোটের শেষ দফার আগে গতকাল রাজ্যে নজিরবিহীন পদক্ষেপ নিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। আবার প্রশ্ন ওঠে গেল নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে। পশ্চিমবঙ্গে শেষ দফা ভোটের ২০ ঘণ্টা আগেই প্রচার পুরোপুরি বন্ধ দেওয়া দেশের গণতন্ত্র এবং নির্বাচন কমিশনের মতো সংগঠনের পক্ষে ‘কালো দাগ’। বৃহস্পতিবার কমিশনের বিরুদ্ধে এই ভাষাতেই তোপ দেগে কংগ্রেস এবার কমিশনের নিয়োগপ্রথা নিয়ে প্রশ্ন তুলল।
এইদিন কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ‘৩২৪ ধারায় সাংবিধানিক কর্তব্য সম্পূর্ণ পরিত্যাগ করেছে ফেলেছে নির্বাচন কমিশন। এর সঙ্গেই কমিশন ভারতীয় সংবিধানের ১৪ এবং ২১ নম্বর ধারাও অস্বীকার করেছে। এবার সময় এসে গিয়েছে যে নির্বাচন কমিশনের নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে পর্যালোচনা করা হোক। মোদির দুটি মিছিলকে ফ্রি পাস দিতেই রাত ১০টার পর প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আদর্শ নির্বাচনী বিধি বা এমসিসি কী এখন মোদি কোড অফ মিসকনডাক্ট।’ শুধু এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। তার সঙ্গে তাঁর সংযোজন, ‘কংগ্রেস দায়িত্ববান দল। এভাবে কোনওদিন সাংবিধানিক সংগঠনগুলির পদক্ষেপে হস্তক্ষেপ করেনি। কিন্তু আমরা দুঃখের সঙ্গে বলতে বাধ্য হচ্ছি যে নির্বাচন কমিশন নিজের স্বাধীনতা হারিয়েছে এবং সাংবিধানিক একতা পরিত্যাগ করে ফেলেছে।’
নির্বাচন কমিশনের এইরকম সিদ্ধান্ত নিয়ে সরব দেশের বিরোধীরা। স্বাধীনতার পর প্রথম এমন ঘটনা ঘটেছে যা সত্যিই নজিরবিহীন।