লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের ধারা ও তৃণমূল সুপ্রমোর বক্তব্যকে পাখির চোখ করে কান্দি বিধানসভা উপনির্বাচনেও ঝাঁপিয়ে পড়েছে তৃণমৃল নেতৃত্ব। দলীয় প্রার্থী গৌতম রায়কে জয়ী করার উদ্দেশ্যে জোরদার প্রচার করা হচ্ছে। কান্দিতে ঢালাও উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দলীয় কর্মীদের উজ্জীবিত করছেন তৃণমূল নেতারা। মুখ্যমন্ত্রী জিতলে বাংলার উন্নয়নের ধারা বজায় থাকবে। এর ফলে উপকৃত হবে বাংলার সাধারণ মানুষ।
এ ব্যাপারে তৃণমূল প্রার্থী গৌতম রায় বলেন, “দলের সকলে মিলে আমরা এই লড়াইয়ে নেমেছি। এখানে জয় ছাড়া আমরা অন্য কিছু ভাবছি না। একসঙ্গে লড়াই করলে ব্যাপারটা অনেকটা সুবিধা হয়ে যায়। মিলেমিশে কাজ করার আনন্দ আলাদা। কান্দির মানুষ আমাদের পাশে এই লড়াইয়ে শামিল হয়েছেন”। স্থানীয় তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, বহরমপুর কেন্দ্রে লোকসভা ভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেলডাঙায় দলীয় প্রার্থী অপূর্ব সরকারের সমর্থনে নির্বাচনী সভায় বলেন, আপনারা আমাদের প্রার্থীকে জেতান, আপনারা যা চাইবেন, তাই পাবেন। মুখ্যমন্ত্রীর ওই বক্তব্যকে সামনে রেখে কান্দি কেন্দ্রের উপনির্বাচনে জয় পেতে মরিয়া তৃণমূল নেতৃত্ব।
বিধানসভা উপনির্বাচন ঘিরে ইতিমধ্যে বিভিন্ন জায়গায় কর্মিসভা করা হচ্ছে। দলীয় প্রার্থী গৌতম রায় রোড-শো, বাড়ি বাড়ি প্রচার করছেন। দলের খড়গ্রাম ব্লক সভাপতি মফিজউদ্দিন মণ্ডল, ভরতপুর-১ ব্লক সভাপতি নুর আলম ও যুব সভাপতি নজরুল ইসলাম, ভরতপুর-২ ব্লক সভাপতি মহম্মদ আজাহারউদ্দিন সিজার, বড়ঞা ব্লক সভাপতি গোলাম মুর্শেদ প্রমুখ নেতাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ওই নেতারা নিজেদের এলাকায় ভোট মনিটরিং করবেন এবং দলীয় প্রার্থীকে জেতানোর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন। কর্মীরাও ওই নেতাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করবেন। বহরমপুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী তথা কান্দির প্রাক্তন বিধায়ক অপূর্ব সরকার বলেন, “আমাদের নেত্রীর ওই বক্তব্যকে সকলেই পাখির চোখ করেছেন। কারণ, বহরমপুর লোকসভার সঙ্গে কান্দির বিধানসভাও যদি আমরা মুখ্যমন্ত্রীকে উপহার দিতে পারি, তাহলে আমাদের সোনায় সোহাগা হবে। দীর্ঘ ২০ বছরের বহরমপুরের সংসদ সদস্য কান্দিকে পিছিয়ে রেখেছেন। এখানে কোনও উন্নয়ন হয়নি। তাই এবার উপনির্বাচনে আমরা তৃণমূল প্রার্থীকে জয়ী করে বিধানসভায় পাঠাব। এজন্য সবরকম প্রচার চালানো হচ্ছে।