কলকাতার বুকে অমিত শাহের মিছিলকে কেন্দ্র করে গেরুয়া শিবিরের তান্ডবের ক্ষততে দগদগে তিলোত্তমা। আর তার মধ্যেই লোকসভা ভোটের শেষ দফার আগে রাজ্যে নজিরবিহীন পদক্ষেপ করল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। আবার প্রশ্ন ওঠে গেল নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে। এর আগেও বারবার বিরোধীরা নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তা নিয়ে চিঠিও দিয়েছেন তাঁরা। সেই আশঙ্কা সত্যিই হল কমিশনের কাজে। নির্বাচনের শেষ দফার আগে বাংলায় প্রার্থীদের প্রচারের সময়সীমা একদিন কমিয়ে দিল কমিশন।
পাশাপাশি, রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব অত্রি ভট্টাচার্যকে সরিয়ে দিল কমিশন। তাঁর কাজকর্ম দেখভাল করবেন মুখ্যসচিব মলয় দে। সেই সঙ্গে বর্তমানে এডিজি সিআইডি পদে থাকা কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারকেও অপসারিত করেছে নির্বাচন কমিশন। কমিশন নির্দেশ দিয়েছে, শুক্রবার সকাল দশটার মধ্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে রিপোর্ট করতে হবে রাজীব কুমারকে।
দুদিন আগে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব অত্রি ভট্টাচার্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে চিঠি দিয়ে বাংলায় কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। আর তার জেরেই কি এই সিদ্ধান্ত? প্রশ্ন ঘুরছে জাতীয় রাজনীতির অন্দরে অন্দরে। মঙ্গলবারই কলকাতায় এসে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। তার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই এ রাজ্যের শেষ দফা ভোটের আগে বেনজির সিদ্ধান্ত নিল নির্বাচন কমিশন। এখানেও তৈরি হচ্ছে প্রশ্ন। বিজেপির অঙ্গুলি হেলনেই চলছে কি নির্বাচন কমিশন? প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে মানুষের মনের মধ্যে।