গত ২৯ এপ্রিল চতুর্থ দফায় নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে কৃষ্ণনগরে। আর ভোট মিটতেই এবার তৃণমূলের কর্মীরা ঝাঁপিয়ে পড়লেন পুরভোটের প্রস্তুতিতে। জনসংযোগ বাড়ানোর ক্ষেত্রেও জোর দিয়েছেন তৃণমূল নেতারা। প্রসঙ্গত, গত ডিসেম্বর মাসে কৃষ্ণনগর পুরসভার গত নির্বাচিত বোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়েছে। রাজ্য সরকার লোকসভা ভোটের আগে নির্বাচনে যায়নি। লোকসভা ভোট পর্ব চলাকালীন আসন সংরক্ষণের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। তৃণমূল নেতারা বলেন, আমরা প্রস্তুত আছি। সাতদিনের নোটিফিকেশনে আমরা নির্বাচনে লড়াই করতে পারব।
লোকসভা নির্বাচন পর্ব মিটলে পুরভোট হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। লোকসভা ভোটে জয় নিশ্চিত জেনে তৃণমূল পুরভোটে লড়াইয়ে নেমে পড়েছে। একটি সূত্রের খবর, রাজ্য সরকার সব জেলার সবকটি পুরসভা ও কর্পোরেশনের নির্বাচন একসঙ্গে করতে চাইছে। সেটা হলে আগামী বছরের গোড়ায় পুর নির্বাচন হতে পারে। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, পুর নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ হোক বা না হোক, ভোটকে সামনে রেখে প্রস্তুতি চলছে। প্রাক্তন কাউন্সিলাররা নিজের নিজের ওয়ার্ডে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করছেন।
বিভিন্ন আড্ডায় গিয়ে কাউন্সিলার ও নেতারা জনসংযোগ বাড়াচ্ছেন। রক্তদান শিবির, ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করে কাউন্সিলাররা ভোটারদের মন ধরে রাখার চেষ্টা করছেন। কাউন্সিলার দিলীপ দাস বলেন, আমার ওয়ার্ডবাসীর সঙ্গে অত্যন্ত ভালো সংযোগ রয়েছে। সকল মানুষের বিপদে আপদে আমরা পাশে থাকি। ওয়ার্ডবাসীও আমাকে পছন্দ করেন। তবু দলীয় কর্মীদের নিয়ে বৈঠক চলছে। ভোটের জন্য আমরা প্রস্তুত রয়েছি। শহরের এক তৃণমূল নেতা বলেন, লোকসভা ভোটে কৃষ্ণনগর কেন্দ্রে আমরা লিড দেব। জয় নিশ্চিত থাকায় আমরা পুরভোটের প্রস্তুতি শুরু করেছি। আগামী দিনে আরও কর্মসূচি নেওয়া হবে।
২০১৩ সালে কৃষ্ণনগর পুরসভায় তৃণমূল বোর্ড গঠন করে। সেবার নির্বাচনে ২৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২২টিতে শাসকদল জয়লাভ করে। দু’টি ওয়ার্ডে জয়ী দুই নির্দল কাউন্সিলার ফল প্রকাশের দিনই তৃণমূলে যোগ দেন। ফলে ২৪টি ওয়ার্ডই শাসক দলের দখলে আসে। কিন্তু গত ডিসেম্বর মাসে বোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়েছে। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে রাজ্য সরকার নির্বাচনে যায়নি। পুরভোট সময়মতো না হওয়ায় পুরসভায় প্রশাসক বসানো হয়। প্রশাসক হন কৃষ্ণনগর সদর মহকুমাশাসক অম্লান তালুকদার। প্রাক্তন চেয়ারম্যান অসীম সাহা, চিকিৎসক রবি মুখোপাধ্যায় ও রমেন মুখোপাধ্যায়কে বোর্ড অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটরের সদস্য হিসেবে নিয়োগ করা হয়।
এবার লোকসভা নির্বাচনে পুর এলাকায় ভোটের সেনাপতি ছিলেন পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান অসীম সাহা। তিনি বলেন, পুরসভা এলাকা থেকে এবার লিড দেবই। লিড দেওয়াটা চ্যালেঞ্জিং রয়েছে। রেকর্ড ভোটের লিড পাবেন প্রার্থী মহুয়া মৈত্র। অসীমবাবু বলেন, আমরা পুরভোটের জন্য প্রস্তুত রয়েছি। সাতদিনের নোটিফিকেশনে আমরা নির্বাচনে লড়াই করতে পারব। পুরভোটে আমরা ২৫টি ওয়ার্ডই দখল করব। বিরোধীরা একটি আসনও পাবে না। গোল্লা হাতে তাঁদের বাড়ি যেতে হবে।