রাজ্যে লোকসভার সপ্তম দফা অনুষ্ঠিত হতে চলেছে আগামী ১৯ মে। এই ভোটে ২১ শতাংশ প্রার্থীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। এবং ফৌজদারি এবং গুরুতর ফৌজদারি মামলার নিরিখে দলগত ভাবে সব থেকে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের ন’জন প্রার্থীর মধ্যে পাঁচ জনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রয়েছে এবং ওই পাঁচ জনের মধ্যে চার জনই গুরুতর মামলায় অভিযুক্ত।
ভোটের সপ্তম দফার আগে বাংলার মোট ১১১ জন প্রার্থীর হলফনামা বিশ্লেষণ করে এই তথ্য জানিয়েছে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ সংস্থা ‘অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস’ (এডিআর) এবং ‘পশ্চিমবঙ্গ ইলেকশন ওয়াচ’। তারা আরও জানিয়েছে, ১১১ জনের মধ্যে ১৭ জনের বিরুদ্ধে গুরুতর ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। প্রায় ১৫ শতাংশ প্রার্থী গুরুতর মামলায় অভিযুক্ত। তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগ বিজেপির প্রার্থী। পশ্চিমবঙ্গ ইলেকশন ওয়াচের রাজ্য কো-অর্ডিনেটর উজ্জয়িনী হালিম বলেন, “আমরা সামাজিক সংগঠন হিসেবে বারবার রাজনৈতিক দলগুলির কাছে আর্জি জানিয়েছি, অভিযুক্ত প্রার্থীদের যেন মনোনয়ন দেওয়া না-হয়। কিন্তু সেই আবেদন যে মানা হচ্ছে না, গুরুতর মামলায় অভিযুক্তদের প্রার্থী করার ঘটনাতেই সেটা পরিষ্কার”।
নির্বাচন পর্যবেক্ষণ সংস্থার রিপোর্ট বলছে, সব থেকে বেশি মামলা রয়েছে বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী সায়ন্তন বসুর বিরুদ্ধে। তাঁর বিরুদ্ধে মোট ১৪টি মামলা রয়েছে। সাতটি মামলা রয়েছে কলকাতা (উত্তর) কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রাহুল সিংহের বিরুদ্ধে। সিপিএমের ছ’জন প্রার্থীর মধ্যে একমাত্র দমদম কেন্দ্রের প্রার্থী নেপালদেব ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধেই গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। তবে সামগ্রিক ভাবে মামলার নিরিখে বড় দলের প্রার্থীদের পিছনে ফেলে দিয়েছেন বারাসত কেন্দ্রের সিপিআইএমএল (রেড স্টার) দলের প্রার্থীর অলি মহম্মদ মল্লিক। তাঁর বিরুদ্ধে মোট ৩২টি ফৌজদারি মামলা রয়েছে। তার মধ্যে ২০টি খুনের চেষ্টা এবং মারাত্মক অস্ত্র নিয়ে হাঙ্গামার ২৫টি মামলা রয়েছে।