মহিলারা শুধু যে রান্নাঘরেই আটকে নেই তা বহুদিন আগেই প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। এখন সর্বত্র মহিলারা দাপটে কাজ করেন। ক্রিকেটও যে শুধুমাত্র পুরুষদের মুক্তাঞ্চল নয় তাও প্রমাণ করেছেন মহিলারাই। আর তাই উঠে এসেছে ঝুলন, হরমনপ্রীতদের মত প্রতিভারা। এবার মহিলাদের অগ্রগতির মুকুটে যোগ হল আরও এক নতুন পালক। ভারতের জি এস লক্ষ্মী হলেন প্রথম মহিলা আন্তর্জাতিক রেফারি। আইসিসি-র প্রথম মহিলা ম্যাচ রেফারি হলেন তিনি।
ক্রিকেটার হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে খেলেছেন এবং ম্যাচ রেফারি হিসেবেও কাজ করেছেন ঘরোয়া ক্রিকেটে। সেই অভিজ্ঞতা তিনি এ বার ম্যাচ রেফারি হিসেবে কাজে লাগাবেন বলে জানিয়েছেন লক্ষ্মী। আইসিসি-র সিনিয়র ম্যানেজার অ্যাড্রিয়ান গ্রিফিত মহিলা ম্যাচ রেফারি নিয়োগকে স্বাগত জানিয়েছেন। যোগ্যতার মাপকাঠিতেই লক্ষ্মীকে নিয়োগ করা হয়েছে বলে জানান গ্রিফিত।
উচ্ছ্বসিত লক্ষ্মী বলেন, ‘এটা আমার কাছে বিরাট সম্মানের, এটা নতুন দিশা দেখাবে। ভারতে ক্রিকেটার হিসেবে এবং ম্যাচ রেফারি হিসেবে আমি দীর্ঘদিন যুক্ত রয়েছি। আশা করি আমার এই অভিজ্ঞতা আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনার ক্ষেত্রে সাহায্য করবে। আইসিসি, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কর্তা, পরিবার, সহকর্মীদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এঁরা বছরের পর বছর ধরে আমার পাশে থেকেছেন।’
৫১ বছরের লক্ষ্মীকে ২০০৮-০৯ মরসুমে মহিলাদের ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রথম বার ম্যাচ রেফারি হিসেবে কাজ করতে দেখা গিয়েছিল। ১৯৮৬ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত তিনি ক্রিকেট খেলেছেন। খেলোয়াড় জীবনে লক্ষ্মী ছিলেন ডান হাতি ব্যাটসম্যান। বল হাতে ভাল আউট সুইং করাতে পারতেন লক্ষ্মী। এ বার আইসিসি-র কাছ থেকে তিনি পেলেন বড় সম্মান। লক্ষ্মী বলেছেন, ‘‘আন্তর্জাতিক প্যানেলে আমাকে নির্বাচিত করা হয়েছে, এটা নিঃসন্দেহে বড় সম্মান।’’