দু’দফায় ১০ বছর ধরে উন্নয়নের ব্যাট ধরে কাজের নিরিখে শুধু ছক্কা হাঁকিয়ে চলেছেন বারাসতের তৃণমূল প্রার্থী ডাঃ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। যেখানেই জনসভা বা মিছিল হচ্ছে, সেখানেই প্রার্থীর উদ্দেশ্যে সাধারণ মানুষ বলছেন, “দিদি এবার হ্যাটট্রিক চাই”। ভিড় ঠাসা জনসভা অথবা প্ল্যাকার্ড কিংবা স্লোগানে ভরা মিছিল। তাঁকে সামনে পেলেই দৃপ্তকণ্ঠে সকলের এই একটাই আবদার—হ্যাটট্রিক। দলীয় কর্মীদের কথায়, ২০০৯ এবং ২০১৪ সালে পর পর দু’বার জয়ী হয়ে তিনি যে উন্নয়ন করেছেন, তার যদি তালিকা তৈরি করা হয় তাহলে তা মধ্যমগ্রাম থেকে দিল্লী পর্যন্ত লম্বা হবে! বারাসত জেলা হাসপাতালকে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রূপান্তর করার জন্য প্রচুর পরিশ্রম করেছেন। মেডিক্যাল কলেজের কাজও শুরু হয়েছে। এই হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগের জন্য পৃথক ইউএসজি ইউনিটও করেছেন।
ভূগর্ভস্থ পথ থেকে মাটির উপরে গগনচুম্বী পানীয় জলের রিজার্ভার। নতুন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে প্রত্নতত্ত্বের মিউজিয়াম। অসহায় বৃদ্ধদের ঝাঁ চকচকে বৃদ্ধাবাস থেকে টয়ট্রেনের সওয়ারি হয়ে শিশুদের নতুন উদ্যান। সবই উপহার দিয়েছেন বারাসতের দু’বারের সাংসদ ডাঃ কাকলি ঘোষদস্তিদার। তিনি এবারও বারাসত লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী। মধ্যমগ্রাম শহরের দিগবেড়িয়ায় কাকলি ঘোষদস্তিদারের বাড়ি। সেখানেই তাঁর অফিসঘর। প্রতিদিন শতশত মানুষ নানা প্রয়োজনে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যান। বাড়িতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা নেই। শুধু ডাক্তার নন, দিগবেড়িয়ার মানুষের কাছে তিনি একজন শিক্ষিকাও। কারণ, এই অঞ্চলের অনেক গরিব ছাত্রছাত্রী অভাবের তাড়নায় পড়াশোনা ছেড়ে দিয়েছিল। তিনি বিনা পয়সায় সকলকে পড়ানোর ব্যবস্থা করেছেন। মাঝে মাঝে নিজেও ক্লাস নেন।
দলীয় কর্মীরা বলেন, বারাসতের হাতিপুকুরের আবর্জনার স্তূপ সরিয়ে তিনি অভিনব সিরাজ উদ্যান তৈরি করেছেন। সেখানে টয়ট্রেন চলছে। শিকারার মতো নৌকো চলছে। প্রায় আড়াই হাজার বছরের প্রাচীন ইতিহাসকে তুলে ধরতে এবং চন্দ্রকেতুগড় ও খনা-মিহিরের ঢিবিকে পর্যটনের আলোয় আনতে দেগঙ্গার বেড়াচাঁপায় চন্দ্রকেতুগড় সংগ্রহশালা তৈরি করেছেন তিনি। এছাড়াও সৌন্দর্যায়ন, রাস্তা, আলো, পানীয় জল, যাত্রী প্রতীক্ষালয় থেকে কমিউনিটি টয়লেট— উন্নয়নের তালিকায় বাদ নেই কিছুই।