বিজেপির গুন্ডাবাহিনীর দাপটে উত্তপ্ত কলকাতা। এদিন শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে ছিলেন গেরুয়া দলের কর্মী-সমর্থকরা। রোড শো শুরুর আগে ধর্মতলায় নির্বাচন কমিশনের গাড়িতে ভাংচুর চালানো হয়। তারপর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজস্ট্রিট ক্যাম্পাস শেষে সেই আক্রোশে বাদ গেল না বিদ্যাসাগর কলেজ। বাইরে থেকে পাথর, ইট ছোড়া হয়েছে। বাইকে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এখানেই শেষ নয়, দরজা ভেঙে বিদ্যাসাগর কলেজে ঢুকে ভাঙা হয়েছে বিদ্যাসাগরের ঐতিহ্যবাহী মূর্তি। আর তারপরই শুরু হয় অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের পালা।
অমিত শাহ দাবি করেন যে বিদ্যাসাগর কলেজের গেট বন্ধ ছিল। বিজেপির লোকেরা তাই ভেতরে ঢুকবে কীকরে? কিন্তু সেই দাবিকেই খন্ডন করে দিলেন বিদ্যাসাগর কলেজের অধ্যক্ষ গৌতম কুন্ডু। তাঁর দাবি, কলেজের কেউ নয়। গেটের তালা ভেঙে তা বহিরাগতরাই কলেজে ঢুকে ভাঙচুর চালিয়েছে। তাঁরাই ভেঙেছে বিদ্যাসাগরের মূর্তি। কলেজের ছাত্রছাত্রীদের ওপর কোনও রকম দোষ চাপাতে তিনি রাজি নন।
গৌতম কুন্ডুর কথায়, ‘তালা ভাঙা হয়েছে গেটের। বাইরে থেকে লোকেরা এসে ভাঙচুর চালিয়েছে।’ শুধু তাই নয়, বিজেপি প্রশ্ন তুলেছে কেন অত রাত পর্যন্ত কলেজ খোলা ছিল? অধ্যক্ষর স্পষ্ট জবাব, ‘আমাদের কলেজ অনেক রাত পর্যন্ত খোলা থাকেই। কাজকর্মও থাকে।’