লোকসভা নির্বাচনের শেষ লগ্নে এসে গতকাল তিলোত্তমা কলকাতার চেহারা হয়ে রণক্ষেত্র। অমিত শাহের রোড শো ঘিরে বিজেপির গুন্ডাবাহিনী বাহিনী দাপিয়ে বেরাল। মহিলাদের অসম্মান থেকে শুরু করে মূর্তি ভাঙা। কিছুই বাদ পড়ল না। তটস্থ কলকাতা। মঙ্গলবারের রাতের ঘটনা নিয়ে তোলপাড় পড়ে গেছে রাজ্যজুড়ে। এরই মধ্যে ছাত্রদের বিক্ষোভে সামিল হলেন শিক্ষকরাও।
বুধবার সকালেই নদিয়ার শান্তিপুর কলেজে টিএমসিপির বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। সেখানে ছাত্রদের বিক্ষোভে সামিল হন কলেজের অধ্যক্ষ ও অধ্যাপকরা। অপরদিকে বর্ধমানের পূর্বস্থলী কলেজেও বিক্ষোভ দেখায় টিএমসিপি। সেখানে পোড়ানো হয় অমিত শাহর কুশপুতুলও। মঙ্গলবারের ঘটনার প্রতিবাদে দিকেদিকে প্রতিবাদে সামিল হচ্ছে সকলে। সকলেরই বক্তব্য এক, রাজনৈতিক কারণে দুদলের মধ্যে বিরোধ যাই থাকুক, বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার মতো নিন্দনীয় কাজের জন্যে প্রতিবাদে সামিল হতেই হবে।
প্রসঙ্গত, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ স্ট্রিট ক্যাম্পাসে হামলা চালায় সমর্থকরা। বাদ পড়েনি উত্তর কলকাতার অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিদ্যাসাগর কলেজও। বাইরে থেকে পাথর, ইট ছোড়া হয়েছে। বাইকে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এখানেই শেষ নয়, দরজা ভেঙে বিদ্যাসাগর কলেজে ঢুকে ভাঙা হয়েছে বিদ্যাসাগরের ঐতিহ্যবাহী মূর্তি। গেরুয়া দলের মারমুখী কর্মী সমর্থকদের হাত থেকে নিস্তার পাননি সংবাদমাধ্যমের কর্মীরাও।
এইরকম ঘটনায় নিন্দার ঝড় উঠেছে দেশ জুড়ে। কোথাও মৌন মিছিল তো কোথাও ধিক্কার। প্রতিবাদের ঝড় রাজ্যজুড়ে। বাঙালির ভাবাবেগে আঘাত করে রাজনীতি করতে গিয়ে বেকায়দায় গেরুয়া শিবির।