বিদ্যাসাগর কলেজে তাণ্ডব চালানো এবং ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার মতো নিন্দনীয় ঘটনার নেপথ্যে সরাসরি বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতির মদত আছে৷ বুধবার সকালে এই মর্মে আর্মহার্স্ট স্ট্রিট থানায় অমিত শাহর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করলেন বিদ্যাসাগর কলেজের পড়ুয়ারা৷ ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে ৫৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার সন্ধ্যায়। কলেজ স্ট্রিট থেকে অমিত শাহর রোড শো বিধান সরণির দিকে এগোতেই বিদ্যাসাগর কলেজের সামনে ধুন্ধুমার বেঁধে যায় ছাত্রদলের একাংশের সঙ্গে মিছিলে অংশগ্রহণকারী বিজেপি কর্মী, সমর্থকদের৷ কলেজের সান্ধ্যকালীন ক্লাস চলাকালীন ভিতরে ঢুকে দুষ্কৃতীরা ভাঙচুর চালায়৷ দরজা, জানলা, ক্লাসরুমের ক্ষতি করার পাশাপাশি ভেঙে টুকরো করে ফেলা হয় ঐতিহ্যবাহী ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মূর্তিটি৷ আর এসবের পিছনে অমিত শাহর রোড শো-কেই দায়ী করছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ৷ তাঁদের অভিযোগ, বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতির সামনেই এমন তাণ্ডব চালিয়েছে বিজেপি কর্মী, সমর্থকরা৷ তিনি নীরব ছিলেন৷ তাই তাঁর বিরুদ্ধেই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে৷
অন্যদিকে, বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার ঘটনায় জেলায় জেলায় তৃণমূলের তরফে ধিক্কার মিছিল শুরু হয়েছে। ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন মহানগরের বুদ্ধিজীবীরা। তাঁরা দেশ জেতাতে মমতাকে সমর্থন করার ডাক দিয়েছেন। তাঁদের কথায়, বাংলার সংস্কৃতির সঙ্গে বিন্দুমাত্র সম্পর্ক নেই এমন একটি দল (পড়ুন বিজেপি) এ রাজ্যকে অপমান করছে। যে কোনও ফ্যাসিস্ত শাসক চায় জনগণের ওপর তীক্ষ্ণ নজরদারি চালাতে। মোদীসরকারও সেই কাজ সুকৌশলে করেছে। তারা চায় শুধু স্তাবকতা। একইসঙ্গে এই ঘটনায় দোষীদের উপযুক্ত শাস্তিরও দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
সবমিলিয়ে শেষ দফায় শহরে ভোটের আগে বিদ্যাসাগর মূর্তি চুরমার হওয়ার ঘটনায় নতুন করে রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে৷