বিজেপির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য লালকৃষ্ণ আডবাণীর আশীর্বাদ নিয়েই দল ছেড়েছেন শত্রুঘ্ন সিনহা। তিনি এখন সঠিক পথে আছেন। বুধবার সকালে একটি সাংবাদিক সম্মেলনে একথা জানালেন শত্রুঘ্ন সিনহা।
২০ বছর বিজেপিতে থাকার পরে সদ্য কংগ্রেসে এসেছেন অভিনেতা তথা রাজনীতিক শত্রুঘ্ন সিনহা। এদিন সকালে একটি সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি এখন সঠিক পথে আছি। আরও ভালো পথে আছি। যখন আমি নতুন পথে এলাম, তখন আডবাণীজির আশীর্বাদ নিয়ে এসেছি। আমি দল ছাড়ছি শুনে তাঁর চোখে জল এসে গিয়েছিল। কিন্তু তিনি একবারও বলেননি, ‘মত যাও’। আমি বিজেপি ছাড়ছি শুনে তিনি বললেন, ‘ওকে, লাভ ইউ’’।
রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর আমলে শত্রুঘ্ন বিজেপিতে যোগ দেন। তাঁর কথায়, ‘তখন বিজেপিতে ছিল লোকশাহি। এখন কায়েম হয়েছে তানাশাহি’। অর্থাৎ বাজপেয়ীর আমলে বিজেপিতে গণতন্ত্র ছিল। এখন তার বদলে আছে স্বেচ্ছাচার। শত্রুঘ্নর কথায়, ‘দলের বর্তমান নেতৃত্ব প্রবীণদের সম্মান করেন না। আডবাণী, বাজপেয়ী ও আরও কয়েকজন নেতা তার উদাহরণ’। বিহারীবাবুর সাফ কথা, ‘আমি কখনও বিজেপির বর্তমান নেতৃত্বের কাছে মাথা নোয়াইনি। তারা চেয়েছিল, আমাকেও বসিয়ে দেবে। কিন্তু আমি তাদের কথায় রাজি হইনি’।
শত্রুঘ্নকে প্রশ্ন করা হয়, বালাকোটে বায়ুসেনার হামলার প্রভাব ভোটে পড়বে কি? তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক ভারতীয়ই মনেপ্রাণে জাতীয়তাবাদী। কিন্তু জাতীয়তাবাদের কথা তুলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নানা প্রশ্ন এড়িয়ে যাচ্ছেন। আমরা যখন তাঁকে কর্মসংস্থান নিয়ে প্রশ্ন করি, তিনি পুলওয়ামার কথা বলেন’। অভিনেতার দাবি, ‘২৩ মে ভোটগণনার পরে মোদী আর প্রধানমন্ত্রী থাকবেন না। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে শত্রুঘ্ন বলেন, তিনি আমাদের বন্ধু। তিনি লৌহমানবী। মমতা ঠিকই বলেন, মোদীর এক্সপায়ারি ডেট ওভার হয়ে গিয়েছে’।