প্রার্থী ঘোষণার পরদিন থেকেই এক অত্যাশ্চর্য শক্তিতে বয়সের তোয়াক্কা না করে প্রচারে নেমে পড়েছেন দমদম লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী সৌগত রায়। শেষ দফা ভোটের আগে সোমবার প্রাতঃভ্রমণকারীদের সঙ্গে হেঁটে গা ঘামিয়ে নিয়েই হুডখোলা গাড়িতে দিনভর ভোট প্রচার করলেন তৃণমূল প্রার্থী সৌগত রায়। সাতসকালে দমদমের অলিগলি, কলোনি ঘুরে কখনও মন্দিরে ঢুকে প্রণাম করলেন, কখনও বৃদ্ধার দিকে মাথা ঝুঁকিয়ে নমস্কার করলেন, কখনও বা বহুতলের বাসিন্দাদের দিকে হাত নেড়ে ভোট দেওয়ার আবেদন জানালেন।
সপ্তাহের প্রথম দিনে সবে ঘুম ভেঙেছে দমদমের। সাতসকালে কলোনি এলাকার বাড়ির দরজার সামনে ব্রাশ হাতে, ফ্ল্যাটের ব্যালকনিতে খবরের কাগজ হাতে অনেকে দাঁড়িয়েছেন। যশোর রোডের ধারে দোকানগুলো খুলতে শুরু করেছে। এইচএমভির গেটের সামনে থেকে এগিয়ে চলল কয়েকশো লোকের মিছিল। একেবারে সামনে বাজনা। বেলুন হাতে মহিলা সমর্থকদের দলের পর হুডখোলা গাড়িতে দমদম কেন্দ্রের বিধায়ক ব্রাত্য বসুকে সঙ্গে নিয়ে প্রার্থী সৌগত রায় প্রচার করছেন। আগে-পিছে কর্মী-সমর্থকরা। পিছনে একটি গাড়িতে মাইকে রেকর্ড বাজছে “শক্ত হবে দেশের খুঁটি, লালকেল্লায় হাওয়াই চটি। ছাত্র-যুব-বুড়োর গান, দেশ চাইছে পরিত্রাণ”। তৃণমূল প্রার্থী সৌগত রায়ের কথায়, “লোকে বলছে বিজেপির হাওয়া আছে। কিন্তু, আমার এখনও ধারণা, বিজেপির তলায় কোনও সংগঠন নেই। ওরা মেরুকরণ করছে। কিন্তু, ওদের মানুষ পছন্দ করছে না”।
অরবিন্দ সরণী থেকে কমলাপুর সাংস্কৃতিক মঞ্চ, যশোর রোড ধরে কমলাপুর বিদ্যায়তন হাইস্কুলের পাশ দিয়ে ১ নং মতিলাল কলোনি ধরে মিছিল এগিয়ে যায়। এই পুরসভা এলাকার ১১ নম্বর, ১৪ নম্বর, ১০ নম্বর, ২০ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচার হয়। কালীধাম মন্দিরে নেমে প্রণাম করেন প্রার্থী। তিনি জানান, প্রচারে সামনে রাখছি উন্নয়ন। আমার কেন্দ্রে ন’টি পুরসভা এলাকায় আরও ভালো পানীয় জল, নিকাশি, রাস্তা করাই লক্ষ্য। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত খড়দহ থেকে বিরাটি, দমদম থেকে পানিহাটির প্রতিটি এলাকা তিনি এভাবেই ঘুরছেন। এদিন ৬টার সময় দমদম স্টেশন সংলগ্ন একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের মাঠে মর্নিং ওয়াক করার পর দমদম পুরসভার যশোর রোড সংলগ্ন ওয়ার্ডগুলিতে প্রচার করলেন।